সেতু নির্মাণের সাথে যুক্ত এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, ‘‘সেতুটি তৈরি হয়েছে খুবই আধুনিক প্রযুক্তিতে। কোনও নাট-বোল্ট ব্যবহার করা হয়নি। এর ফলে কাঠামোর স্থায়িত্ব অনেকটাই বেড়েছে। মূল নকশাটি রেলের ছাড়পত্র পাওয়ায় সিআরএসের ছাড়পত্র পেতে দেরি হয়নি।’’
সেতুর এক দিকে রেলের যে-আবাসন ভাঙতে হয়েছিল তার জন্য ইতিমধ্যেই রেলকে টাকা দিয়েছে রাজ্য। ৩৮-৩৯টি কোয়ার্টার বা আবাসনের জন্য এই অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছিল বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন : বাবা মুখ্য বিচারপতির গাড়িচালক, জুডিশিয়ারি পরীক্ষায় ৬৬ তম স্থান পেয়ে মেয়ের স্বপ্ন বিচারপতি হওয়ার
পূর্ত দফতরের বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ১৯৬২ সালে তখনকার সম্ভাব্য ভারবহন ক্ষমতার হিসেব কষে টালা সেতুর নকশা তৈরি করা হয়েছিল। এ বার অন্তত ১০০ বছরের সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেতুর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। নকশা তৈরি করা হয়েছিল ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের সাম্প্রতিকতম ‘কোড’ মেনে। ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের বিধি অনুযায়ী এমন সেতু তৈরি করা দরকার, যা অন্তত ৩৮৫ টনের চলমান গাড়ির ওজন বহনে সমর্থ হয়।নতুন টালা সেতুর নানান অংশ তৈরির কাজ চলেছে বিভিন্ন জায়গায়। প্রকল্পের প্রায় সব জটই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছিল ২০২১ সালেই। বেশ কয়েক দফা আলোচনার পরেই চূড়ান্ত হয়েছিল সেতুর নকশা এবং রেল-কর্তৃপক্ষ সেটি অনুমোদনও করে দিয়েছিল বলে রেল প্রশাসন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন : খুলে যাচ্ছে নতুন টালা সেতু, আলোচনায় সেই বাস রুট! মালিকরা তুললেন পুরনো দাবি
কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)-র কাছ থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। এই সেতু নিয়ে রেল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চালাচ্ছিল রাজ্য সরকার। পানাগড়-সহ কয়েকটি এলাকায় সেতুর বিভিন্ন অংশ তৈরি করা হয়। সিআরএসের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই নির্মিত অংশগুলি এনে ক্রেনে করে সেতুর মূল কাঠামোর উপরে ‘লঞ্চ’ করা হয় বা নিখুঁত মাপে বসানো হয়েছে।
