নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে শুরু করে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য পুরোটাই আপলোড করার ক্ষমতা থাকবে পড়ুয়াদের হাতেই। কী ভাবে এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা যায়? তথ্য প্রযুক্তি দফতর ও স্কুল শিক্ষা দফতর যৌথভাবে পরিকল্পনা করবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- স্নানের জল গায়ে পড়লেই প্রস্রাব করে ফেলেন? কেন হয় এমন? ‘সত্যিটা’ জানলে অবাক হবেন
advertisement
দ্রুত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হল। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই ট্যাবের টাকা গায়েব নিয়ে হইচই শুরু হয়। কলকাতা পুলিশ কী তদন্ত করেছিল? রিপোর্ট চেয়েছিল নবান্ন। এর পরেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এল তদন্তকারীদের কাছে। প্রধান শিক্ষকদের গাফিলতি নজরে এসেছে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রাথমিক তদন্তে। দেখা গিয়েছে, অ্যাকাউন্ট নম্বরে গরমিল ছিল পোর্টালে আপলোডের সময়েই। ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে যে অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়, সেগুলি যথাযথ আপলোড হয়নি। কয়েকটি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে শেষ ২ ডিজিট বা শেষ ৩ ডিজিট আপলোডের সময় বদলে ফেলা হয়েছে। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেই। এর পরই তদন্তে মোড় আসে।
দেখা যায়, ৮৪ নয়, রাজ্যজুড়ে ৩০০-রও বেশি পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে। সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর বিভিন্ন জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের থেকে। সেই রিপোর্টেই ৩০০-রও বেশি পড়ুয়ার ট্যাবের টাকার গায়েবের ঘটনার তথ্য উঠে আসে। সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন শিক্ষা দফতর। ফের জেলায় জেলায় ভেরিফিকেশনের নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের। ৩০০-রও বেশি পড়ুয়া ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে বলে রিপোর্ট। সোমবার বিকেলে এ নিয়ে বৈঠকের পরেই মঙ্গলবার তথ্য আপলোডের এক্তিয়ার নিয়ে নতুন পরিকল্পনা নবান্নের।