শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে ভেঙে এর আগে সুন্দরবন পুলিশ জেলা, বারুইপুর পুলিশ জেলা ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা করা হয়েছিল। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পুলিশকে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাকে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল।’’
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী এও দাবি করলেন, ‘‘এর পরেও দেখা গিয়েছিল ভাঙড়-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। সেই কারণেই এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের উপর দায়িত্ব পড়েছে যাতে তিনি তাঁর বাহিনীকে দিয়ে ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাকে শুধরে নেওয়া, এলাকার মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, বোমা-গুলি উদ্ধার করে মানুষের জীবন রক্ষা করার কোনও উদ্দেশ্য নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’
কলকাতা পুলিশের অধীনে ভাঙড়কে যুক্ত করা এটা সম্পূর্ণটাই রাজনৈতিক। এটা গোটাটাই সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বলেও দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। ভাঙড়ে অশান্তি রুখতে এবার কলকাতা পুলিশের অধীনে প্রস্তাবিত নয়টি নয়া পুলিশ স্টেশন হতে চলেছে। নির্বাচনের আগে ও পরে সব থেকে গুলি বোমা বারুদের গন্ধে তেতে ছিল ভাঙড়।
ভাঙড়ের অশান্তি রুখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। ভাঙড়ে অশান্তির পর এবার কলকাতা পুলিশের আরও ৯টি পুলিশ স্টেশন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের ৯ টি থানা ওই এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রস্তাবিত ৯ টি থানার নাম -কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা, হাতিশালা, পোলেহাট, উত্তর কাশিপুর, বিজয়গঞ্জ বাজার,নারায়ণপুর, ভাঙড়,বদ্রা, চন্দনেশ্বর।
ভাঙড় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ও পরে বোমাবাজি গুলির ঘটনায় উত্তপ্ত ছিল। সংঘর্ষ, অশান্তির ঘটনায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।