১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান৷ ফেসবুক থেকে নানা ধরনের সামাজিক মাধ্যমে নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে কার্যত ঝড় উঠেছে। 'চোর ধরতে আওয়াজ তোলো। ১৩ই সেপ্টেম্বর নবান্ন চলো'- এই স্লোগানকে সামনে রেখে চলছে প্রচার। নবান্ন অভিযানের পর পর বাগুইআটির ঘটনা নিয়ে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু৷ তাঁর হুঁশিয়ারি, রাজ্য সরকার অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের অনুমতি দিক। রবিবার পর্যন্ত দেখব, না হলে জনস্বার্থে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাগুইআটি কাণ্ডে 'ব্যথিত' মমতা, আইসি-কে ক্লোজ করে তদন্তে সিআইডি! জানালেন ফিরহাদ
বাগুইআটি থানার সামনে বুধবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। সেই বিক্ষোভ সমাবেশেই হাজির হন শুভেন্দু। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে থানার গেটের সামনেই স্লোগান দেন বিরোধী দলনেতা৷ এরপর বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে সুরও চড়ান তিনি।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর বাড়িতে ডাক পড়ল চাবিওয়ালার, কলকাতায় মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর
১৪ দিনের মাথায় উদ্ধার হয় বাগুইআটির অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় মূল অভিযুক্তের বাড়িতে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। কী কীরণে খুন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মঙ্গলবার রাতেই বাগুইআটি পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজের ফেসবুকে উল্লেখ বলেন, ‘‘বাগুইআটির জগৎপুরে অপদার্থ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় অপহৃত দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের জীবন চলে যায়। আজ তাঁদের পরিবারের সাথে দেখা করতে গেলে নির্লজ্জ তৃণমূলের একদল গুন্ডা বাহিনী আমাকে বাধা দেয়। এই অপদার্থ তৃণমূল সরকার, যাদের কাছে সাধারণ মানুষের জীবনের কোনও মূল্য নেই। এদের পতন নিশ্চিত। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এর হিসাব নেবে।’’
ইতিমধ্যেই বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করে তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে৷