শুভেন্দু বলেন, "দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা দিয়ে আজ শুরু। প্রামাণ্য দলিল শুধু নয়। ট্রান্সফার,সালিশি, উৎকোচ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করব। আজ বিধানসভায় আমরা সাত বিধায়ক মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলাম। সর্বস্তরের নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলাম আমরা। বিধানসভার ছত্রে ছত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য কাজ থমকে ছিল বা হত। ২০১১ সালের পরে এই প্রথম পার্থ বিহীন বিধানসভা। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বলতে দেয়নি। ওরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসে স্লোগানে শামিল হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আমরা হাউজ অচল করতাম না...', বিধানসভায় বিজেপিকে 'ইতিহাস' মনে করালেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
এদিন চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিধায়ক গণেশ মণ্ডল, ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির খান, ডায়মন্ড হারবার দু'নম্বরের অঞ্চল সভাপতি, শামিম আহমেদ মোল্লা এবং গৌতম অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি "সবথেকে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে ১০০ দিনের কাজে। গণেশ মণ্ডলের নিজের নামে ১৩, পরিবারের বাকিদের নামে ২৬ অবৈধ সম্পত্তি। প্রায় কোটি টাকার দূর্নীতি। এই হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার মডেল। এই মডেল সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়।"
আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কাণ্ডে এবার বিজেপি নেতা! জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তলব করল সিআইডি
অন্যদিকে ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির খানের সম্পর্কে শুভেন্দু বলেন, "ইনি পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। বকলমে ইনিই চালান। এনারও ৩৯ টি অবৈধ সম্পত্তি। কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এই নেতার বিরুদ্ধে।" গৌতম অধিকারীকে নিয়ে বিরোধী দলনেতার দাবি, "১১'টা সম্পত্তি পেয়েছি। কোনও সম্পত্তি হলফনামায় দেখানো হয়নি। এটা প্যান কার্ডে নেই।"
ডায়মন্ড হারবার দু'নম্বর অঞ্চলের সভাপতি শামিম আহমেদ মোল্লার বিরুদ্ধে শুভেন্দুর দাবি, "এনারও ১০'টি সম্পত্তি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিএ সুমিত রায়ের সম্পত্তি আসলে। সমস্ত কাগজ ও তথ্য শনিবার ইডি অফিসে আমি পৌঁছে দেব। তারা তদন্ত প্রক্রিয়া করবেন আশা করি। এটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।"
শুভেন্দু অধিকারী আরও যোগ করেন, "যারা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা চুরি করেছে তারা ঠিক বলেনি৷ একাধিক বিধায়ক ও ব্লক প্রেসিডেন্টের টাকা নেওয়ার তথ্য ও ভিডিও আমার কাছে আছে। আমি ধীরে ধীরে প্রকাশ করব।"