শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘আমি অনেকবার বলেছি যে জীবনকৃষ্ণ সাহার কাছে থেমে থাকলে হবে না। জীবনকৃষ্ণ সাহা কাঁদি, নবগ্রাম, খড়গ্রাম প্রভৃতি এলাকার এমএলএ-দের দিয়ে তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং লোকেদেরকে টাকার বিনিময়ের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কাজ করেছেন। অতএব কান টেনেছেন ঠিক আছে, মাথাকেও টানতে হবে।’’
advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচিলে ঝোলা, পুকুরে মোবাইল ফেলা, পাম্প মেশিন বসিয়ে জল তোলা। আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল। সবাই দেখেছে। শাসকদল যখন বলছে রাজনীতি করছে, তখন শাসকদলের একটাও বলা উচিত ছিল যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ছুটে পালাতে গেলেন? তিনি যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন,তাহলে ফেস করা উচিত। কেন তিনি মোবাইল পুকুরে ফেললেন? প্রথমে তো অস্বীকার করছিলেন। তিনি যে অপরাধী সেটা আজ সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন । শুধু ইডির কাছে নয়, ওটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে।’’
আগের মতোই ফের জীবনকৃষ্ণ সাহা তার স্মার্টফোনটি নর্দমার মধ্যে ফেলে দেন। তৃণমূল বিধায়কের এহেন কর্মকাণ্ডে তোলপাড় পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইডিকে দেখে জীবনকৃষ্ণ সাহার ছুটে পালানোর ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ইডির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘‘কান টেনেছেন ঠিক আছে, মাথাকেও টানতে হবে।’’
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এ দিন ফের মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ এর আগে সিবিআই-এর হাতেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ৷ সূত্রের খবর, ইডি হানা দিয়েছে খবর পেয়েই বাড়ির পিছনের দিকের পাঁচিল পেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল বিধায়ক৷
এর আগে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির সময়ও জীবনকৃষ্ণ তাঁর দুটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন৷ এ দিনও ইডি হানা দিতেই পালানোর সময় নিজের একটি মোবাইল ফের পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক৷ যদিও তৃণমূল বিধায়কদের মরিয়া চেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ তাঁকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি পুকুরে ফেলে দেওয়া মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করে ইডি৷