‘‘তালিকা প্রকাশ করে কোন শর্তে বিপুল পরিমাণ বন্ড দেওয়া হয়েছে তাও জানাতে হবে। আর যদি তৃণমূল কংগ্রেস তা প্রকাশ্যে না আনে তাহলে সেই তথ্য বের করার দায়িত্ব আমার দল এবং বিরোধী দলনেতার।’’ এক প্রকার হুঁশিয়ারির সুরে রবিবার বর্ধমানের সভামঞ্চ থেকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যুকে হাতিয়ার করে নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু।
advertisement
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় জন বিশ্বাস যাত্রায় যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী
রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে সুর সপ্তম তুলে শুভেন্দু অধিকারী এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক দল নয়, একটা চোরেদের কোম্পানি।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর এও দাবি, ‘‘যে কোম্পানির মালিক ম্যানেজিং ডিরেক্টর-সহ স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের পাশাপাশি গ্রুপ সি গ্রুপ ডি কর্মীরাও রয়েছেন।’’
প্রায় প্রতিদিনই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ও সরকারকে নিশানা করে একের পর এক অভিযোগের বোমা ফাটিয়েই চলেছেন। এবার নোটবন্দির সময় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ শাসক দলের অন্যান্য নেতাদের বেআইনিভাবে কালো টাকা সাদা করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পাশাপাশি ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যু নিয়েও তৃণমূলকে চাপে রাখার কৌশল নিলেন শুভেন্দু বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।