বুধবার সন্ধ্যায় ভিডিও ফুটেজ-সহ ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু কুন্ডু-সহ তাঁর সিভিক ভলান্টিয়ার বাহিনী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে।’’ সংবাদ মাধ্যমের কাছে শুভেন্দু এই প্রশ্নও তোলেন যে, যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের তরফে নয়া নির্দেশিকায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী কী কাজের তালিকা তা হাইকোর্টকে জানানো হলেও কী করে এদিন তা উপেক্ষা করে সিভিক ভলান্টিয়াররা লাঠি হাতে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর আক্রমণ চালাল?’’
advertisement
সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের পরিধি নির্দিষ্ট করতে কয়েকদিন আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের আইজিকে গাইডলাইন তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশ মোতাবেক রাজ্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয় যে, কোনও আইন প্রয়োগ করতে পারবেন না সিভিক ভলান্টিয়াররা। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ, পুজো, উৎসবের সময় ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে শুধুমাত্র সাহায্য করবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবে দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার ময়না বনধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর যে জঘন্য হামলা সিভিক ভলান্টিয়ারদেরকে দিয়ে চালানোর অভিযোগ ৷ বুধবার পটাশপুরে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের একাংশের মদতে তা আদালত অবমাননা করা হল বলেই ট্যুইটে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আইন হাতে তুলে নেওয়া নয়, সিভিক ভলান্টিয়াররা পুলিশকে সাহায্য করবে বলা হলেও যেভাবে পটাশপুরে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর ‘হামলা’ চালাল সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশ, সে ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের নজরে বিষয়টি আনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অতীতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এবার তাদের নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগের বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা।