শুভেন্দু অধিকারী তরফে এদিন আদালতে সওয়ালে বলা হয়, RT vehicles, Camera, রুট লাইনিং, এই ৩ টি বিষয় Z সুরক্ষা বলয়ে সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। হাই কোর্টের নির্দেশে এই ৩ টি বিষয় শুভেন্দু অধিকারীর সুরক্ষা বলয়ে দেওয়ার কথা রাজ্যের। রাজ্য না দেওয়ায় ২ বার রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে কার নাম, এবার কাকে ডাক? নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার বিরাট মোড়
শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনের পরেও কোনও সাড়া দেয়নি রাজ্য। শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যরত কোনও জওয়ানকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্তব্যরত সিআরপিএফ-কে গ্রেফতার ও ১ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। চণ্ডীপুরের ঘটনায় এফআইআর ও পুলিশের পদক্ষেপ নির্দিষ্ট স্বার্থসিদ্ধির জন্য।
আরও পড়ুন: কলকাতার সিবিআই দফতরে শীর্ষ কর্তারা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে? তোলপাড় বাংলা
শুভেন্দুর আইনজীবী আরও জানান, চণ্ডীপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কনভয়ের ৭-৮ নম্বর গাড়িতে দুর্ঘটনা। এই ঘটনা ঘটতই না যদি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য শুভেন্দু অধিকারীর সুরক্ষা বলয়ের জন্য পদক্ষেপ করত। পুরো ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিসন্ধি আছে। তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হোক। এফআইআর-এর উপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে দিঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের বাসিন্দা ইসরাফিল খানের। শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলে তারা বাবা সফিরউদ্দিন চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতর। মৃত যুবকের মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ মিছিলও করে তৃণমূল। এই ঘটনায় শুভেন্দুর কনভয়ের এক গাড়ির চালককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।