আবু সোহেলের এফআইআর-সহ মোট ২০টি তদন্তে ইতিমধ্যেই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন আইনজীবী। তবে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি না হওয়ায় এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন আবু সোহেল।
আরও পড়ুন: এ কী বলে ফেললেন কুন্তল! দেখালেন হাতও! নিশানায় কি পার্থ? তোলপাড় আদালত
advertisement
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে করা সব এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর সময় মামলায় আপাতত হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ। তবে CBI তদন্ত করবে কি না পরে সিদ্ধান্ত জানাবে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যের কাগজ, এ রাজ্যে মাঝরাতে পোড়ানো কেন হল? বিরাট ষড়যন্ত্র! কী ছিল সেই কাগজে জানেন!
রাজ্যের করা ২৬ এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য ছিল, 'যেহেতু তিনি বিরোধী দলের নেতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত, তাঁর সন্দেহ আদালত সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারে না। পুলিশ নিজে অথবা একদল মানুষের প্ররোচনায় একের পর এক অভিযোগ এনে, জনগণের প্রতি তাঁর যে কর্তব্য, তা স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।' অ্যাডভোকেট জেনারেল , সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, অন্তত সাতবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। সময়, তারিখ যেদিন তিনি আসবেন সেটাই জানতে চাওয়া হয়। সিআরপিসি ৪১ এ নোটিশে সমস্যা কোথায়? রক্ষাকবচ তাকে আগেই দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন নতুন করে আবার সুবিধা পাবেন?।
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী পরমজিত সিং পাটোয়ালিয়া আদালতে দাবি করেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ৬টি FIR করা হয়েছে একই সময়। অধিকাংশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুলিশ নিজেই করেছে। মোট ২৬ এফআইআর। মূলত কয়েক ধরনের FIR। যখনই সভায় কিছু বলা হচ্ছে বক্তব্য ধরে FIR করা হচ্ছে। শুভেন্দু'র ট্যুইটেও সমস্যা। সিআরপিসি ৪১-এ নোটিশ প্রায় রোজই দেওয়া হচ্ছে। আগের এফআইআর অন্য ধরনের। এখন ট্রেন্ড বদলে যাচ্ছে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR যেন Fill in the Blank। নাম, বাবার নাম কিচ্ছু নেই। প্রতিহিংসার জন্য FIR করা হচ্ছে। এর একটা সমাধানের প্রয়োজন। আবেদন, সব এফআইআর CBI হাতে তুলে দেওয়া হোক।