শাসক দল তৃণমূল এবং পুলিশ প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু অধিকারী গণ আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি আইনি লড়াইয়ের কথাও বলেন। দলের ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে তাদের হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন শুভেন্দু। সর্বস্ব হারনো ঘরছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী এদিন শুভেন্দু অধিকারীর পা ধরে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘দাদা আমাদের বাঁচান’। শুভেন্দু দুই মহিলা প্রার্থীদের বলেন,’ লড়াই চালিয়ে যান। আমি সবসময় পাশে আছি’।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বাংলায় যে কোনও মুহূর্তে ৩৫৫ ধারা জারি!’ দিল্লির বৈঠকের পরই সুকান্তর মন্তব্যে জোর জল্পনা
আমতা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় এরপর সোজা রওনা দেয় বারুইপুরের উদ্দেশ্যে। সেখানে দলীয় কার্যালয়ে ‘সেফ হাউস’ পরিদর্শন করে স্থানীয় নেতৃত্ব, আক্রান্ত ও ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। এরপর গতকাল রাতে কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেন সংলগ্ন মাহেশ্বরী ভবনে গিয়েও রাজনৈতিক কারণে ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: সারা রাত গাছে বাঁধা তৃণমূল নেতা ও এক মহিলা! ছবি উঠল চটপট, ঘটনা শুনে মাথায় হাত
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করে কথা বললাম। শাসকদলের গুন্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত এই মানুষগুলির অপরাধ এরা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী অথবা এজেন্ট বা কার্যকর্তা বা সমর্থক। ব্যালট পেপার খেয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তার মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া থেকে ঘরের বাইরে শিকল টেনে দিয়ে আগুন ধরিয়ে বগুটুইয়ের মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টার মতো অমানবিক ঘটনা রাজ্যে ঘটছে। ১৭০০ বিজেপির নির্বাচিত সদস্য সদস্যদের অসম, ওড়িশা সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায়, হুমকি ও অত্যাচারের কারণে ঘরছাড়া হয়ে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে’।
শুভেন্দুর দাবি , ‘পুলিশ প্রশাসনকে দলদাসে পরিণত করেছে, মহামান্য আদালতকেও মানছে না পিসি-ভাইপোর কোম্পানি। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে এই সরকারকে সমূলে উৎখাত করতেই হবে। সময় এসে গেছে, তৃণমূল কোম্পানিকে এই বাংলার মানুষই উৎখাত করে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করবে’।