সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রেখে বাংলায় একের পর এক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। কিন্তু প্রয়াগরাজের ঘটনার পর যোগী আদিত্যনাথ গ্যাংস্টার আতিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৭ জন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছেন। যোগীজিকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠ নেওয়া উচিত যে কী ভাবে প্রশাসন চালাতে হয়'।
advertisement
রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে লেখেন, 'উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে। দুষ্কৃতীরা আইনশৃঙ্খলা নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে। পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতির তোয়াক্কা করছে না। সংসদীয় গণতন্ত্রে এ ধরনের অপরাধের কোনও জায়গা নেই'। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলার আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তাঁর দাবি, 'ওনাকে বলব অন্য রাজ্যের আভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে না ভাবলেও চলবে। ২০২১ এর ২ মেয়ের পর থেকে আপনি এবং আপনার লোকজনেরা কী করেছে তা মানুষ সব দেখেছেন। আসানসোলে হোটেল ব্যবসায়ী খুন থেকে রাজু ঝার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘদিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজনকেও আপনার পুলিশ ধরতে পারেনি। আপনার সময়কালে বগটুই গণহত্যা, হাঁসখালি গণধর্ষণ, ৫৬ জন বিজেপি কর্মীকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার করা-সহ একাধিক ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে'।
আরও পড়ুন: পার্থর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, জীবনের 'আসল' রহস্যের খোঁজ পেল সিবিআই!
শুভেন্দু আরও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে কী ভাবে প্রশাসন চালাতে হয় তা শেখা। প্রয়াগরাজের ঘটনার পর পরই বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যোগীজি। এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক ঘটনা ঘটে গেলেও একটি ঘটনার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেননি। তাই উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয় বলা ওঁর মুখে সাজে না'।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী