প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য তাঁর পর্যবেক্ষণ জানান, যে ট্যুইটের বিরোধিতা করে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেখানে 'কয়লা ভাইপো'র কথা বলা হয়েছে! ইনি কে? তা জানতে চান বিচারপতি। তিনি বলেন, "মামলকারী তো তাঁর ট্যুইটে কারও নাম ব্যবহার করেননি।"
আরও পড়ুন: সেজে উঠল থানা, ভিতরেই বিয়ের আসর! কী এমন ঘটল মথুরাপুরে, শুনলে চমকে উঠবেন
advertisement
অভিযোগ, বিতর্কিত ট্যুইটে 'লেডি কিম' শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, "লেডি কিম! তিনি কে? কিম জন উন উত্তর কোরিয়ার শাসক বলে জানি। তাঁকেই কী বলা হয়েছে? না কী মজা ছিল?"
আরও পড়ুন: পরীক্ষার বাকি মাত্র ২০ দিন, কী মারাত্মক ঘটনা ঘটালেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! সব শেষ
গত বছর ১৩ নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারী একটি ট্যুইট করেছিলেন। সেই ট্যুইটকে কেন্দ্র করে তাঁকে শোকজ নোটিস পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। ওই ট্যুইট নিয়ে তাঁকে ৩ বার নোটিস পাঠানো হয়। কমিশনের এই নোটিস খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলেনতা। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, "শিল্পা দাস নামে এক মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন।" এরপরেই বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, "যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে এই ট্যুইটের কী সম্পর্ক রয়েছে? তাঁর কি কোনও ক্ষতি বা স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে?" কমিশনের আইনজীবী জানান, অভিযোগকারিণী একজন মা। বিরোধী দলনেতার ওই মন্তব্য শিশু অধিকার লঙ্ঘন করে! একটি শিশুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করার অভিযোগ রয়েছে।
এর উত্তরে কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, "যদি অভিযোগ সত্যিও হয়, তা হলে মামলকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতা আপনাদের রয়েছে?" কমিশনের আইনজীবী জানান, অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে অনুসন্ধান করা হয়। কমিশন নিজেও শুনানি করে। তার পর আইন অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হতে পারে। এবার সেই মামলার শুনানিতেই কমিশনের হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি।