পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন তিনি৷ বললেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮ সালে সিবিআইকে তদন্তের জন্য রাজ্যের দেওয়া সম্মতিপত্র প্রত্যাহার করে নেন। কারণ ওই সময় থেকেই ওঁর ভাইপো কয়লা - গরুতে হাত পাকাতে শুরু করেন। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে ইডি - সিবিআই। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।" সম্প্রতি, রাজ্যের শিক্ষা দূর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন। এর পর, গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, মলয় ঘটক-সহ একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ক ইডি ও সিবিআই-এর নজরে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি৷ পার্থ-কল্যাণময়ের গ্রেফতার সব কিছু নিয়েই রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু৷
advertisement
আরও পড়ুন: হাত বদল হয়ে যাচ্ছে সম্পত্তি, দিল্লিতে সায়গলের মা- স্ত্রীকে তলব করল ইডি
আরও পড়ুন: ওয়াকিটকির হাতেই তুলি, মা দুর্গার চক্ষুদানে ব্যস্ত ‘কনস্টেবল’ সুকুমার
তবে এদিন অবশ্য বিধানসভায় দেখা যায় এক বেনজির দৃশ্য৷ বিধানসভায় বিরোধী বেঞ্চের দিকে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানে গিয়ে বিজেপি বিধায়কদের শুভেচ্ছা জানান তিনি৷ শুভেচ্ছা জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও৷ পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানান বিরোধী দলনেতা৷ পাল্টা নমস্কার করেন তিনি৷ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দল ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই ২০২০ সাল থেকে ২০২২, এই সময়ের মধ্যে এমন সৌজন্যের নজির দেখা যায়নি৷