আগামী ২৭ অগাস্ট ‘নবান্ন চলো অভিযান’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইল রাজ্য। পুরো বিষয়টি একটা গুরুতর জায়গায় পৌঁছেছে। প্রতিবাদ, মিছিল, মিটিং নিয়ে রাজ্য হলফনামাও জমা দেয় শীর্ষ আদালতে।
আরও পড়ুন: ‘১০ দিন কেটে গিয়েছে…,’ আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব অভিষেক
এদিকে, সলিসিটর জেনারেল বলেন, “সবচেয়ে অবাক করেছে, চিকিৎসকের দেহ সৎকারের পরে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এফআইআর করা হয়েছে।” রাজ্য আদালতে জানায়, কী কী হয়েছে, প্রতি মিনিটের টাইমলাইন তাদের কাছে রয়েছে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “সকাল ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ টালা থানা অভিযোগ দায়ের করল। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থল সিল করল পুলিশ? এত ক্ষণ সেখানে কী হয়েছিল?” রাজ্যের তরফে বলা হয়, বিষয়টি এমন নয়। সব কিছুর ভিডিওগ্রাফি রয়েছে। সলিসিটর জেনারেল বলেন, “রাজ্য বলছে মৃতার বাবা এফআইআর দায়ের করার অনুমতি দেননি।”
advertisement
বিচারপতি পাদ্রিওয়াল জানতে চান, কখন ময়নাতদন্ত হল? রাজ্য জানায়, সন্ধ্যা ৬টা ১০ থেকে ৭টা ১০-এর মধ্যে। বিচারপতি পাদ্রিওয়াল রাজ্যের কাছে জানতে চান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা কখন দায়ের করা হয়? রাজ্য জানায়, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি পাদ্রিওয়াল বলেন, “এটা কি অস্বাভাবিক মৃত্যু? যদি হয়, তবে ময়নাতদন্তের কী প্রয়োজন ছিল? এখানে দেখতে পাচ্ছি রাত সাড়ে ১১টায় জেনারেল ডায়েরি হয়। তার ১৫ মিনিটের মাথায় এফআইআর হল? আদালতের কাছে সঠিক ভাবে বক্তব্য রাখুন। বিচারপতি পাদ্রিওয়াল আরও বলেন, “অবাক হচ্ছি, ময়নাতদন্তের আগেই বলে দেওয়া হল অস্বাভাবিক মৃত্যু?” বিচারপতি পাদ্রিওয়াল বলেন, “পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট কে? তদন্তে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ রয়েছ। এমন এই ভাবে তদন্ত হল?”