সাধারণ ভাবে রাত ১১টা নাগাদ বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা ওঠে। শুক্রবার রাতে চাহিদা উঠেছিল রেকর্ড— ৯৯৩৫ মেগাওয়াটে। অন্যদিকে সিইএসসি-র এলাকায় এই চাহিদা ছিল ২৭২৮ মেগাওয়াট।গত বছর জুন মাসে যেখানে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯২০০ মেগাওয়াট। সিইএসসি’র বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৬০০ মেগাওয়াট। সেই তুলনায় চলতি মরশুমে আরও প্রায় ৬-৭ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই চাহিদা সর্বকালীন বলে জানা যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আর দেরি নেই, ওরেঞ্জ লাইনে শুরু ট্রায়াল রান! এবার মহড়া দৌড় শুরু হয়ে গেল রুবি থেকে বেলেঘাটা
দেখা যায়, সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে জুন মাসে। কিন্তু এ বছর সেই সময়ও এগিয়ে এসেছে। ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিল এই চাহিদা। শেষ পাঁচ বছরে,২০১৯-২০সালে সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২৩৩৭ মেগাওয়াট। ২০২০-২১ সালে সর্বোচ্চ চাহিদা খানিকটা কমেছিল। ওই বছর ১৮৬৫ মেগাওয়াট ছিল চাহিদা। ২০২১-২২ সালে সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২০১২ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ সালে সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২৩৩৯ মেগাওয়াট। ২০২৩- ২৪ সালে এই সর্বোচ্চ চাহিদা বেড়ে হয়েছে ২৬০৬ মেগাওয়াট।
তবে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও একাধিক জায়গায় লোডশেডিংয়ের কারণে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে বেশ কিছু অংশের মানুষকে। এর জন্যে বিদ্যুৎসংস্থা দায়ী করছেন না জানিয়ে লোড বাড়ানোর প্রবণতাকে৷ বিশেষ করে অনেকে না জানিয়ে ব্যবহার করছেন এসি৷
আরও পড়ুন: কিডনি থেকে হার্টের সমস্যা! জল খাওয়ার অভ্যাসে এই ভুল? ফল হতে পারে মারাত্মক, আগে জানুন
ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড মার্চ এবং মধ্য এপ্রিলের মধ্যে পৃথক মিটারের লোড ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ২৭,৪৩৭টি আবেদন পেয়েছে। কিন্তু মধ্যে মাত্র ১৬,৬১২টি আবেদনই সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় বিল দিয়েছেন।পাশাপাশি সিইএসই চলতি বছরের মার্চ এবং মধ্য এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৪০ মেগাওয়াট অতিরিক্ত লোডের জন্য ৩৪,৮৫০টি আবেদন প্রক্রিয়া করেছে।