বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের চাকরি বাঁচাতে গিয়ে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা৷ অযোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে তৈরি করা এই শূন্যপদ তৈরির বিজ্ঞপ্তি বাতিল না করলে প্রয়োজনে গোটা মন্ত্রিসভাকে আদালতে ডেকে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলবেন বলেও শুক্রবার হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন - FIFA World Cup 2022: ফুটবলের নেশায় বুঁদ! ‘নমাজ পড়তে ভুলো না’ সতর্ক করল ইসলামিক সংগঠন
আরও পড়ুন - Mamata and Suvendu: বিধানসভায় মমতার ঘরে শুভেন্দু, কী বলছে বঙ্গ পদ্ম শিবির
অযোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে কার নির্দেশে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল, তা জানতে এ দিন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই মতো এ দিন আদালতে হাজির হন শিক্ষা সচিব৷ প্রথমেই শিক্ষা সচিবের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায়না?' জবাবে শিক্ষা সচিব বলেন, 'হ্যাঁ৷' এর পরেই হুঁশিয়ারির সুরে বিচারপতি বলেন, 'হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে আমরা অযোগ্যদের পাশে আমরা নেই এবং ১৯ মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনো হয়নি। আমার সন্দেহ আছে যে, হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই আর নাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। আমি গোটা মন্ত্রিসভাকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শো কজও করতে পারি। বিধানসভার দলনেতা হন মুখ্যমন্ত্রী আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য, দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায়না।'
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন,' আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত দলের নাম এখন তৃণমূল'।
VENKATESWAR LAHIRI