Mamata and Suvendu: বিধানসভায় মমতার ঘরে শুভেন্দু, কী বলছে বঙ্গ পদ্ম শিবির

Last Updated:

এ দিন মুখোমুখি সাক্ষাতে পরস্পরের প্রতি সৌজন্য এবং সম্মানের কোনও ঘাটতি ছিল না মমতা- শুভেন্দুর বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সৌজন্য নিয়ে জোর চর্চা।

Suvendu Adhikary went to Mamata Banerjee's room in assembly a friendly gesture
Suvendu Adhikary went to Mamata Banerjee's room in assembly a friendly gesture
 #বিষ্ণুপুর:  ‘‘বিলম্বিত বোধোদয়। গণতন্ত্রে সরকার এবং বিরোধী এই দুজনেরই সহযোগিতার প্রয়োজন রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই ধরণের সহযোগিতা কেন্দ্রীয় স্তরে দেখা যায়, অধীর চৌধুরী বিরোধী দলের নেতা হলেও লোকসভাতে ওঁর সঙ্গে  তো আমাদের সাংসদদের ভালো সম্পর্ক। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো হওয় প্রয়োজন। বিজেপির পাল্লায় পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বধোদার হয়েছে। আগামী দিনে আরও হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারবেন তাঁর এই হঠাৎ মায়া দয়া কেন বিরোধী দলনেতার প্রতি।যদিও গণতন্ত্রে এটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রীয় স্তরে এই ধরনের গণতন্ত্রই দেখা যায়। তবে  বাংলায় বিপরীত।’’ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ঠিক এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার, একদিন আগেই সংবিধান দিবস স্মরণ রাজ্য বিধানসভায়। ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। নির্ধারিত দিনের আগে উদযাপনকে ঘিরে সমালোচনায় বিরোধীরা। তারই মধ্যে বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী স্মারক ভবনের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের বিধানসভা অধিবেশন শাসক বিরোধীদের আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে সরগরম হয়ে উঠেছে।
advertisement
advertisement
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল বিধানসভায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিজের ঘরে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ অবশ্য ফিরিয়ে দেননি বিরোধী দলনেতা। তবে, তিনি একাও যাননি। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এবং আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
সেখানে দু'তরফে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। এরপর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয়েছে।'' যদিও এদিন বিধানসভায় নিজের বক্তব্যে একাধিক বিষয়ে শুভেন্দুর দিকে ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''আপনি এক সময় কংগ্রেসে, তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। অখিল গিরি দলের জন্মের সময় ছিলেন। আপনার বাবা সিনিয়র নেতা। তাকে সম্মান করি।'' নাম না নিলেও রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিলেন শুভেন্দুই। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''যাকে ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম। তিনি বললেন সরকার অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি, ফর দ্য পার্টি হয়ে গেছে।'' বঙ্গ রাজনীতি থেকে ক্রমশ অবলুপ্তি ঘটছে সৌজন্যের৷ পারস্পরিক কুৎসা, ব্যক্তি আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার সীমাও ছাড়িয়ে যান ছোট, বড় নেতারা৷
advertisement
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বিরোধী দলনেতার আগমণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে যে সৌজন্যের নতুন আলো দেখালো তা বলাই যায়৷ কারণ গত দু' বছরে প্রকাশ্যে দু' জন দু' জনকে প্রকাশ্যে যতই আক্রমণ করুন না কেন, এ দিন মুখোমুখি সাক্ষাতে পরস্পরের প্রতি সৌজন্য এবং সম্মানের কোনও ঘাটতি ছিল না মমতা- শুভেন্দুর বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
advertisement
VENKATESWAR  LAHIRI
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Mamata and Suvendu: বিধানসভায় মমতার ঘরে শুভেন্দু, কী বলছে বঙ্গ পদ্ম শিবির
Next Article
advertisement
BCCI New President: দৌড়ে ছিলেন সৌরভ, হরভজন! শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই-এর নতুন সভাপতি কে? বড় চমক
দৌড়ে ছিলেন সৌরভ, হরভজন! শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই-এর নতুন সভাপতি কে? বড় চমক
  • সৌরভ, হরভজনের মতো হেভিওয়েটদের পিছনে ফেলে বিসিসিআই-এর শীর্ষ পদে বসছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মিঠুন মানহাস৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব না করলেও কয়েক বছর আগেও ঘরোয়া ক্রিকেট পরিচিত মুখ ছিলেন মিঠুন৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement