রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নালিশ জানালেন তিনি। রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দিয়েছেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্মারকলিপি দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ''আমার মনে হয়, এই সরকার ২০২৬ অবধি চলবে না। এরপর আলিপুর জেলে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে।''
ফাইনাল লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত ভোট। দিল্লিতে বৈঠকের ডাক বাংলার বিজেপি নেতাদের। সূত্রের খবর, বঙ্গে পদ্মের শীর্ষস্তরে রদবদলের বার্তা দেওয়া হতে পারে এই বৈঠকে। তেইশে বঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট। চব্বিশে লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দিল্লিতে ডেকেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: মল্লারপুরের দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর, দিলেন জনস্বার্থ মামলার হুমকি!
বিজেপি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে হবে এই বৈঠক। বৈঠকে ডাকা হয়েছে বাংলার নেতাদের। বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ কেন্দ্রীয় নেতারা। স্বাধীনতা দিবসের আগে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কেন জরুরি তলব দিল্লিতে? নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা নাকি রণকৌশল তৈরির তোড়জোড়? জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে ২০২৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূল সরকার টিকবে না বলে মন্তব্য করলেন সুকান্ত।
আরও পড়ুন: পার্থর 'প্রস্তাব' ফেরালেন জেলে জ্বরে কাতর অর্পিতা! বিপদে আজ 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' শুধুই 'ওরা'
বাংলার ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েত আসনই তৃণমূলের দখলে। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দেওয়াই চ্যালেঞ্জ বঙ্গ বিজেপির কাছে। যদিও, সূত্রের খবর, পদ্ম ব্রিগেডের পাখির চোখ আসলে লোকসভা নির্বাচন। উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি যে ১৮টি আসন জিতেছিল, চব্বিশে সেগুলি ধরে রাখা যাবে কিনা, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরেরই একাংশ সংশয়ে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের একাধিক কড়া বার্তা দিতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গোষ্ঠী কোন্দল সরিয়ে একজোট হয়ে কাজ করা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপানো-সহ নানান বিষয় আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে।