প্রসঙ্গত, বাম আমলের পুরানো একটি মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সেই সময় কড়েয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এক গাড়ির চালক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই এতদিন পর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এমপি-এমএলএ আদালত। সেইসঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। অন্যথায় তাঁকে গ্রেফতারও করা যেত। শেষমেশ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
advertisement
জানা গিয়েছে, বামেরা যখন এ রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় এক গাড়ির চালক সুব্রত বাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। অপর একটি গাড়ির চালকে আসনে ছিলেন সুব্রত বাবু। কড়েয়া থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, সেই ঘটনাতেই বিধাননগর বিশেষ আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনায় আত্মসমর্পণের জন্য ১৬ নভেম্বর অবধি সময় দেওয়া ছিল। তার অনেক আগেই আদালতে হাজির হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই সদস্য।
আরও পড়ুন: তুমুল বিড়ম্বনা! সব্যসাচীর তৃণমূল-যোগে কতটা ক্ষতি, মুখ খুললেন বঙ্গ BJP নেতা
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে তৃতীয় বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। স্বপ্নভঙ্গ হয় বিজেপি-র। এরপরই নারদ মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকতে হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। গত ১৭ মে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে জামিন পান তাঁরা। এবার বাম আমলের মামলাতেও জামিন পেলেন সুব্রত বাবু।