এই কারচুপি যাতে ধরা না পড়ে, তার জন্য ওএমআর শিট ফের পাঠানো হত মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা-র কাছে। সেখানে আসল ডেটা শিটেও বদলে যেত নম্বর।সংস্থার পক্ষ থেকে বাঙালি হিসেবে নীলাদ্রিকে এসএসসি-এর সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়ায় সুবীরেশের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই। নিয়োগ-দুর্নীতিতে ভবিষ্যতে তদন্ত হতে পারে তা আগেভাগে বুঝে জাল বিছিয়েছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাই গাজিয়াবাদের ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার বাঙালি অফিসার নীলাদ্রি দাসকে পেয়ে চাকরি-বিক্রির চক্রের কাজ আরও সহজ হয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার নিয়ে বিরাট টার্গেট, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গাইডলাইন প্রকাশ নবান্নের
আরও পড়ুনঃ এলাহি দোতলা বাড়ি, ভাড়া মাত্র ২০ টাকা! ভূ-ভারতে এমন পাবেন না, বাংলায় কোথায় আছে?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নীলাদ্রি দাসের নাম রয়েছে। নীলাদ্রিকে গ্রেফতারের ন'দিন আগেই জমা পড়ে চার্জাশিট।সিবিআই নীলাদ্রি দাস-সহ মোট ন'জনের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জাশিট জমা দিয়েছে । গত ১৫ মার্চ জমা পড়ে চার্জাশিট। গত ২৪ মার্চ নীলাদ্রি দাসকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই গ্রেফতারের আগেই ইনভল্ভমেন্ট পায় নীলাদ্রির। তাই আগেই চার্জাশিট জমা দেয় সিবিআই।
চার্জশিটয়ে নাম নীলাদ্রি দাস, সুবীরেস ভট্টাচাৰ্য,চন্দন মন্ডল,প্রদীপ সিং, প্রসন্ন রায়, পর্ণা বোস ( গ্রেফতার হননি ), পুনীত কুমার ( গ্রেফতার হননি ) , সন্তু দাস ( গ্রেফতার হননি ) , নীলাদ্রির কোম্পানি NYSA কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের। ধৃতের বিরুদ্ধে ১২০ বি ( অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ), ২০১ (তথ্য প্রমান লোপাট ), ৪২০ ( প্রতারনা ), ৪৬৭ (নকল ডকুমেন্টস করা), ৪৬৮ (নকল নথি বানিয়ে ব্যবহার ), ৪৭১ আইপিসি এবংপ্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্টের ৭ ও ৮ ধারায় মামলার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।
সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম থাকা সত্ত্বেও পরে কেন গ্রেফতার নীলাদ্রিকে? সিবিআই-এর পক্ষ থেকে আইনজীবী আদালতকে জানান, গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে হুমকি দিয়ে প্রভাবিত করেছেন নীলাদ্রি এমন প্রমাণ আছে। তাই তাঁর জামিনের তীব্র বিরোধীতা করে সিবিআই। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
ARPITA HAZRA