তিনি বলছেন, ''ভিখারি ভিক্ষার টাকা চাইছে, দিতে পারছি না। সংসার চলছে না। আর ওঁর বাড়িতে কোটি কোটি টাকা! টিভি খুললেই কার টাকা কার টাকা। আমি অসুস্থ। সামনে পেয়েছি, আমার রাগ সামলাতে পারিনি তাই জুতো দিয়ে মেরেছি।'' বলছেন শুভ্রা ঘড়ুই। শুভ্রার স্বামী সমীর ঘড়ুইয়েরও অবশ্য আর্জি, তাঁদের নিজেদের মতো থাকতে দেওয়া হোক। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য টাকা পয়সার দুশ্চিন্তায় ইতিমধ্যেই ঘুম ছুটেছে কৃপারামপুর ঘড়ুই পাড়ার বাসিন্দা সমীর ও শুভ্রার। মঙ্গলবার সেই দুশ্চিন্তারই কি ছাপ পড়ল শুভ্রার এই কাজে?
advertisement
আরও পড়ুন: অর্পিতা-কাণ্ডের মধ্যেই বারাসাতে উদ্ধার কেজি-কেজি সোনা, দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন!
বিষ্ণুপুরের আমতলায় কৃপারামপুর একান্নবর্তী পরিবারে সাদামাটা জীবন শুভ্রার। স্বামী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার। রাজনীতির কোন রং বোঝেন না শুভ্রা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, রয়েছে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড, পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। রাজ্য সরকারের উপর তার কোন রাগ নেই কিন্তু সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট কিনছেন?
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনের অপা-য় হানা ইডি-র, পার্থ-অর্পিতার বাড়িতে শুরু তল্লাশি
শুভ্রার কথায়, ''রাজ্যের মানুষের এত অসুবিধা, আমাদের কত অসুবিধা, সবের মূলে পার্থ। তাই সামনে পেয়েছি মেরে দিয়েছি।'' দুই মেয়ে বড় মেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে নার্সিং পড়ার চেষ্টা করছে, ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট মেয়ে বড় হলে শিক্ষিকা হওয়াক ইচ্ছা। কিন্তু শুভ্রা নিজের কাজের জন্য কোনও অনুশোচনা করছেন না, বরং তাঁর কাজের জন্য তারিফ করছে প্রায় সকলেই।
---অর্পণ মণ্ডল