এই প্রসঙ্গে নদিয়ার কৃষ্ণনগর মহিলা কলেজের ছাত্রীরা বলেছে, “তিনি কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস থেকেও আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এটি শুধু আমাদের জন্যই নয়, সারা দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।”
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও তাঁদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছে, “দেশের অন্যতম উচ্চতম পর্যায়ের এক মহিলা নেত্রী আন্তর্জাতিক মঞ্চে শিশু ও নারী ক্ষমতায়নের বিষয়ে বক্তব্য রাখতে চলেছেন। আমরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। দিদির কাছ থেকে আমাদের শেখা উচিত, কীভাবে জীবনের নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে হয়।”
advertisement
আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরও মুখে হাসি ও গর্ব। তারা বলেছে, “আমাদের সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী যখন কন্যাশ্রী, যুবশ্রী এবং রূপশ্রী-সহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে চলেছেন, তখন এটি আমাদের কাছে এক পরম গর্বের বিষয়। আমরা সবাই এই অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী সকলে মিলে অনুষ্ঠানটি শুনব।”
আরও পড়ুন: মদ বিক্রিতে রেকর্ড পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা! দোলে কত টাকার মদ বিক্রি জানলে চমকে উঠবেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগগুলি বাংলার বহু মহিলার জীবন বদলে দিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা, দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতক ছাত্রী সুপ্রিয়া টিগ্গা শেয়ার করেছেন, কীভাবে কন্যাশ্রী প্রকল্প তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমার বাবা একজন কৃষক, আর মা গৃহবধূ। আমাদের আর্থিক অবস্থা কখনই স্থিতিশীল ছিল না এবং আমার ভাই ও আমার পড়াশোনার খরচ চালানো বাবার পক্ষে কঠিন ছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্যই আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পেরেছি। এই উদ্যোগ অসংখ্য মেয়েকে শিক্ষার সুযোগ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।”