আটার ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সীমাবদ্ধতাকেই কম সময়সীমার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগেভাগে খাদ্য পৌঁছলে গ্রাহকদের সময়মতো বণ্টন করতে সুবিধা হবে।নতুন নির্দেশিকা আসার পরই রেশন দোকানগুলির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। তাঁর বক্তব্য, খুব বেশি পরিমাণে আগাম খাদ্য পাঠানো হলে মজুত করে রাখার সমস্যা দেখা দিতে পারে। দোকানের পরিকাঠামো সীমিত। বিষয়টি আমরা খাদ্য দফতরকে জানিয়েছি।
advertisement
খাদ্য দফতরের তিন ধাপের সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রথমে খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়, তারপর তা ডিস্ট্রিবিউটর ও হোলসেলারদের মাধ্যমে পৌঁছয় রেশন ডিলারদের কাছে। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক সম্প্রতি রাজ্যগুলিকে তিন মাসের খাদ্য মজুত আগাম তোলার নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুযায়ী, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের অধীন গ্রাহকদের জন্য নির্ধারিত খাদ্য অন্তত ৪৫ দিন আগে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতর।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের বক্তব্য, রাজ্যের একাধিক জায়গায় এমন রেশন দোকান আছে যেখানে সারা মাসের এই খাদ্যদ্রব্য রাখার জায়গা নেই। বহু জায়গায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষ করে উত্তরের বা সুন্দরবনের একাধিক স্থান আছে যেখানে প্রবল বর্ষণে অসুবিধা হয়। এই অবস্থায় সেই সব দোকানে আগে থেকে রেশন খাদ্য দ্রব্য এনে রাখা সম্ভব নয়। যদিও রাজ্যের একাধিক কর্তার যুক্তি, মাসের শেষ সপ্তাহে তো সারা মাসের রেশন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা। তাহলে এত অসুবিধা কেন হবে?