যে সব মেডিক্যাল টেকনোলজস্ট যন্ত্রগুলি চালান, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। না হলে ইউএসজি, এমআরআই ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের কোনও যন্ত্রই কেনাবেচা বা মেরামতি কিছুই করা যাবে না। স্বাস্থ্যভবনের পিসিপিএনডিটি শাখার স্টেট অ্যাপ্রোপ্রিয়েট অথরিটির কাছে যথাক্রমে ১০ ও ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে হবে এই রেজিস্ট্রেশন। পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য ধার্য হয়েছে ১০ হাজার টাকা। রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ হবে তিন বছর। অন্যদিকে নির্মাতা ও আমদানিকারীদের জন্য এ খরচ ওই একই সময়ের জন্য ২০ হাজার টাকা। এই রেজিস্ট্রেশন না থাকলে কেউই এই রাজ্যে এই সমস্ত যন্ত্রপাতির ব্যবসা করতে পারবে না।
advertisement
আরও পড়ুন : কতজন অফলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড় ইডি-র
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রায় ৪ হাজার ছোট বড় এবং মাঝারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, সেন্টার আছে। প্রায় ১৭০ টি জায়গায় আছে এম আর আই ক্লিনিক। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নয়া এই নির্দেশ চালু করার পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তাদের
নির্দেশনামায় সাফ সাফ জানিয়েছে, এইসব যন্ত্রের প্রতিটি কেনা, বেচা ও মেরামতি নির্দিষ্ট অথরিটিকে জানাতে হবে। জানাতে হবে জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিককেও। যন্ত্রের মডেল নম্বর, সিরিয়াল নম্বর, কেনাবেচার দিন সবকিছু বলতে হবে। রেজিস্ট্রেশন না করালে সেই নির্মাতা বা পাইকারী-খুচরো ব্যবসায়ীর থেকে কোনও চিকিৎসক বা ক্লিনিক এইসব যন্ত্র কিনতে পারবেন না। সমস্ত কেনাবেচা, মেরামতির নথিপত্র রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : ছিলেন ঘরছাড়া, বাড়ি ফিরতেই বিজেপি নেতার সঙ্গে মারাত্মক ঘটনা ঝড়খালিতে!
প্রতি ৩ মাস অন্তর ১৫ দিনের মধ্যে সেই হিসেব পাঠাতে হবে। পরিদর্শন করার পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে। বেচাকেনার সময় ক্রেতার কাছ থেকে স্ট্যাম্প পেপারে নোটারি করে হলফনামা নিতে হবে। কী থাকবে সেই হলফনামায়? পিসিডিএনডিটি আইন অনুযায়ী, ক্রেতার কোনও মামলা বকেয়া নেই সেই কথা উল্লেখ করতে হবে হলফনামায় এবং শেষ ২ বছরে করা সমস্ত ইউএসজি, এমআরআই-এর ছবি বা ইমেজ-এর ব্যাকআপ রাখতে হবে।