TRENDING:

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে আর কোনও তথ্য নয়, সাফ জানাল রাজ্য 

Last Updated:

রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে এভাবে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে নিয়ে কেন্দ্র - রাজ্য সংঘাত আবার চরমে!  প্রতিনিধিদলকে  আর কোনও তথ্য দেবে না রাজ্য সরকার। ঘোরাঘুরিও চলবে না। সাফ জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
advertisement

পশ্চিমবঙ্গের করোনা সংক্রমণ রুখতে লক ডাউন আদৌ কার্যকর হচ্ছে কিনা,  তা নিয়ে  সংশয় প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। শেষপর্যন্ত, পরিস্থিতি সরজেমিনে দেখতে, আচমকাই রাজ্যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। শুরু হয় সংঘাত। রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে এভাবে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যেই  ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সফরের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্য সচিব। মুখ্য সচিব রাজীব সিনহার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের করোনা আক্রান্ত রাজ্যের তালিকায়  পশ্চিমবঙ্গ ১২ নম্বরে। উত্তরবঙ্গের যে জেলাগুলি তারা দেখতে চেয়েছেন, সেখানে করোনা সংক্রমণের খবর নেই। তাহলে, পরিদর্শনের জন্য এই জায়গাগুলিকে বাছা হল কেন?

advertisement

মুখে না বললেও, মুখ্য সচিবের কথা থেকে স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সফরের উদ্দেশ্য আদৌ প্রশাসনিক না রাজনৈতিক তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে চাইছে রাজ্য। আজ অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব বলেন,  'গতকাল ও আজ কলকাতার একাধিক জায়গা তাদের  ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে।   নিউ টাউনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, এম আর বাঙ্গুরের মত হাসপাতালেও আজ যান তাঁরা। দাবি মতো,  রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়। এরপর, আর নতুন করে আমাদের কিছু করার নেই। ফিল্ড ভিজিটেরও কোনও দরকার নেই। তবে, ওঁরা যদি এরপরেও থাকতে চান ছুটি কাটানোর জন্য সাতদিন কলকাতায় থেকে যেতে পারেন।'

advertisement

দিল্লি থেকে এসে তারা কেন্দ্রীয়  লক ডাউন বিধি অনুযায়ী  ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ঘুরে বেড়ানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে প্রতিনিধিদলের সামনে। ১৪ দিনের মেয়াদ না কাটিয়ে, তাদের পাহাড়ে উঠতে দেওয়া হবে না বলে, উত্তরবঙ্গ সফররত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে আগাম  হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

অন্যদিকে, নবান্নে এক প্রশ্নের জবাবে, মুখ্য সচিব বলেন, আমরা ওদের স্বাস্থ্যের শংসাপত্র দেখতে চাইনি। ওরাও আমাদের কিছু জানান নি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, নিজেই কেন্দ্রীয় আইন ভাঙছে কি না তা আমার জানা নেই। রাজনৈতিক মহলের মতে,  রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্যপালের যৌথ আক্রমনের মুখে, সমঝোতার রাস্তায় না হেঁটে,  কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগাই সঠিক কৌশল বলে মনে করছেন মমতা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে আর কোনও তথ্য নয়, সাফ জানাল রাজ্য 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল