হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যারা শিক্ষা বন্ধু এবং ভিলেজ রিসোর্স পার্সন, তাঁরা আজ মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই দুই ক্ষেত্রে যারা পড়েন, তাঁরাই এ দিন শুধু মনোনয়ন জমা দেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ যে সময়সীমা রাখা হয়েছে সেই সময়সীমা পর্যন্তই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্দেশ নিয়ে কি অবস্থান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ব্যাপক মারধরের পর আচমকা গুলি…! নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে খুন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, ব্যাপক উত্তেজনা
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও কমিশনের কাছে যে পুলিশি রিপোর্ট পৌঁছেছে তাতে কোনও মৃত্যুর উল্লেখ নেই বলেই সূত্রের খবর। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে ঘটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি মৃত্যু, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।
বিরোধীদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এত হিংসা, প্রাণহানি। তবে কমিশনের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও মৃত্যুর ঘটনার উল্লেখ নেই। কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পুলিশের যে রিপোর্ট কমিশনে পাঠানো হয়েছে তাতে কোনও মৃত্যুর উল্লেখ না থাকলেও ৯০ জনের আহত হওয়ার পরিসংখ্যান রয়েছে। পুলিশি রিপোর্টে উল্লিখিত, এখনও পর্যন্ত মোট ৩০টি ঘটনা ঘটেছে। ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫৬টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। জামিন অযোগ্য ধারায় এখনও পর্যন্ত ১৮০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের কোন কোন বুথ স্পর্শকাতর? কোন অঞ্চল স্পর্শকাতর? তথ্য চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন
এ দিকে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, কোন কোন বুথ স্পর্শকাতর, কোন কোন অঞ্চল স্পর্শকাতর, রাজ্যের থেকে সেই তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ নিরাপত্তা মোতায়েনের আগে এই রিপোর্ট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
এ দিন হাইকোর্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে নিরাপত্তা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকরী করতে বলার পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের থেকে দ্রুত রিপোর্ট চেয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যের তরফে এই স্পর্শকাতর অঞ্চল ও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোন কোন স্পর্শকাতর অঞ্চলের কোন কোন বুথে রাজ্য মনে করছে নিরাপত্তা দেওয়া বেশি প্রয়োজন তারও তালিকা পৃথকভাবে চাওয়া হয়েছে। এই পর্যালোচনার ওপরেই নির্ভর করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুলিশই নিরাপত্তা মোতায়েনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশনের আধিকারিকরা আশা করছেন আজ শুক্রবারের মধ্যেই এই রিপোর্ট কমিশনের হাতে এসে পৌঁছবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়