নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ এবার বাড়াতে চায় রাজ্য। পাশাপাশি, প্রকল্পগুলির পরিধি আরও প্রসারিত করে রাজ্যবাসীর হাতে নগদের জোগান বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হতে পারে এই বাজেটে।
নবান্ন সূত্রে খবর, একাধিক সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পে গত বছরের তুলনায় ১০% আর্থিক বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কৃষক বন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, জয় বাংলার মতো একাধিক প্রকল্পগুলি বিশেষ করে অগ্রাধিকার পেতে চলেছে এবারের বাজেটে। আর তেমনটা হলে বাড়বে রাজ্যের খরচও। সাধারণ মানুষের উপর কোনও বাড়তি বোঝা না চাপিয়ে রাজস্ব খাতে আয় বাড়ানো এবার আরও চ্যালেঞ্জ নবান্নের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মানিকে ভরসা নয়? তাহলে কে হবে মুখ্যমন্ত্রীর 'মুখ'? এবার কি ত্রিপুরার 'মমতা' খুঁজছে বিজেপি?
সূত্রের খবর, আগামী অর্থবর্ষে জমি বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে পারে রাজ্য। পাশাপাশি, রাজ্যের আয় বাড়াতে পরিবহণ ক্ষেত্রে কর কাঠামোতেও কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। একশ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে বলে একরাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে, এই দিনের বাজেটে বিকল্প কিছু পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শিল্পক্ষেত্রে রাজ্য চায় ইকোনমিক করিডর গড়ে তুলতে।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ফের নামছে পারদ! এখনই যেন তুলে দেবেন না সোয়েটার-টুপি, আগে জেনে নিন ওয়েদার আপডেট
মনে করা হচ্ছে, এই দিনের বাজেটে রাজ্যে আরও অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলা নিয়ে বেশ কিছু ঘোষণা থাকতে পারে। এদিনের বাজেটে দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়েও বেশ কিছু ঘোষণা থাকতে পারে। সম্প্রতি দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে পুরস্কৃত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আগামী বছর আরও বেশি সময়ের জন্য দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু রাখার প্রসঙ্গটিও এবারের বাজেটে উঠে আসতে পারে। তবে এবারের বাজেটে অন্যতম নজরে থাকবে আয় ও ব্যয়-এর সামঞ্জস্য রক্ষা করার দিকে। অন্যদিকে, বাজেট পেশের পরেই জঙ্গলমহল সফরের জন্য রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়