১৯৮৬ সালে শেষ নিয়োগ হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের। SOI (এসওআই) পদে। SOI- স্টাফ অফিসার্স অ্যান্ড ইন্সট্রাক্টরস। সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। অফিসের কাজ থেকে মাঠে ময়দানে বিপর্যয় মোকাবিলা, সবটাই পর্যবেক্ষণ করেন এই পদের আধিকারিকেরা। দীর্ঘদিন ধরে এই পদ কার্যত শূন্য ছিল। এবার একসঙ্গে শতাধিক নিয়োগ।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান বলেন, ‘‘আয়লা আমফান থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। অনেক মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিলেন। সেই অবস্থা যাতে আর না আসে সেই জন্য প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি দু’টোই নেবে সরকার। তাই শূন্যপদে এত নিয়োগ।’’
advertisement
আরও পড়ুন: থাকবেন মমতা, ডাক শুভেন্দুকেও! রাজভবনে আজ হাতেখড়ি, বাংলা শিখবেন রাজ্যপাল
রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পদক্ষেপ-
★১৯৮৬ সালের পর আর নিয়োগ হয়নি এস-ও-আই পদে।
★জেলা থেকে কলকাতা, এই বিভাগে আধিকারিকের সংখ্যা শূন্যতে এসে ঠেকেছিল।
★দার্জিলিং থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, একসঙ্গে নিয়োগ রাজ্য সরকারের।
★১১১ জনকে নিয়োগপত্র। দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় নিয়োগ করা হয়েছে।
★৬০ জন করে এক একটি গ্রুপে ৩০ দিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কলকাতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
★জলে স্থলে অন্তরীক্ষে কীভাবে বিপর্যয় মোকাবিলা, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
★নাগপুরের এনডিআরএফ ক্যাম্প থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: বাগদেবীর আরাধনা হবে না স্কুলে! কারণ, এই একমাত্র পড়ুয়া
বম্ব স্কোয়াড থেকে সিভিল ডিফেন্স, এমনকি প্রশাসনিক কাজের খুঁটিনাটির প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে সিভিল ডিফেন্সের এই নতুন যোদ্ধাদের। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল জগমোহন বলেন, ‘‘যোশীমঠের মতো পরিস্থিতি এ রাজ্যে এখনও হয়নি। তবে সরকারের সব উইংস একসঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’’
নিয়োগপত্র পাওয়ার পর কীভাবে প্রশিক্ষণ? কতটা মানসিক ও শারীরিক ভাবে পরিশ্রম করতে হবে সে সম্পর্কে তাদের ওয়াকিবহাল করেন সিভিল ডিফেন্সের কলকাতা ডিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল নস্কর।
১১১ জন নতুন সিভিল ডিফেন্সের যোদ্ধাদের মধ্যে ১০ জন মহিলা প্রতিনিধি রয়েছেন। যে কোনও বিপদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত তাঁরাও। হুগলি জেলা থেকে এসওআই পদে নিয়োগ পত্র পেয়েছেন শাবানা সুলতানা। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হতে পারে, সেই জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত আছেন। যেখানেই পোস্টিং দেওয়া হোক না কেন স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
কার্যত শূন্য থেকে শুরু। ১৯৮৬ সালের পর নিয়োগ বন্ধ। ২০২৩ সালে একসঙ্গে শতাধিক নিয়োগ। যোশীমঠের পরিস্থিতিই চোখ খুলে দিয়েছে। আয়লা থেকে আমফানের শিক্ষা নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে রাজ্য সরকার।