শুধু তাই নয়, এই তালিকায় চাকরিপ্রার্থীদের নাম, তাঁদের রোল নম্বর, মেধাতালিকার কোন জায়গায় তাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর কত, তা বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে সব চাকরি প্রার্থীরাই মেধা তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারেন।
শুধু তাই নয়, গত বুধবারই কোন কোন স্কুলে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদ রয়েছে, তার তালিকাও প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিষয় ভিত্তিক তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি মাধ্যম ও সংরক্ষণকে মাথায় রেখেই এই তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১ হাজার ১৪৭ পাতার এই তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত স্কুলের কী নাম, ঠিকানা, কোন বিষয়ে শূন্যপদ যাবতীয় বিষয় বিস্তারিত আকারে উল্লেখ করা হয়েছে।
advertisement
এর পাশাপাশি স্কুলের কোড নম্বর দেওয়া হয়েছে ওই তালিকায়। তার সঙ্গে গত মঙ্গলবার সন্ধের পর থেকেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ওয়েবসাইট মারফত চাকরিপ্রার্থীদের কল লেটার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তার সঙ্গে কোন বিষয়ে কবে কাউন্সিলিং তার সময়সীমা স্কুল সার্ভিস কমিশন ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর দেওয়া পাশাপাশি দিতে হচ্ছে আধার নম্বরও। নতুন করে ছবি ও আপলোড করতে হচ্ছে কল লেটার পাওয়ার জন্য। মনে করা হচ্ছে, যেহেতু এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘদিন ধরে চলছে তাই ফের চাকরিপ্রার্থীদের তথ্য ফের যাচাই করে নিতে চাইছে এই কল লেটার নেওয়ার আগে এসএসসি। তার জন্যই কল লেটার ডাউনলোড করার আগে আরও কয়েক দফা যাচাই পর্ব করে নিচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
অন্যদিকে, উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জন্য আসা চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সেলিং করলেও রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশ পত্র দেওয়া যাবে না।
তবে, সুপারিশ পত্র বা রেকমেন্ডেশন লেটার না দিতে পারলেও দেওয়া হবে সম্মতিপত্র বা অ্যাক্সেপ্ট্যান্স লেটার। এই মর্মে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় মেধা তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের পছন্দমতো স্কুল বেছে নিতে পারবেন। কিন্তু আগামী দিনে যখন সুপারিশপত্র দেওয়ার সবুজ সংকেত আসবে তখন যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্যই এই সম্মতিপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএসসি।
সম্মতিপত্রের একটি প্রতিলিপি থাকবে প্রার্থীর কাছে, অন্যটি থাকবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে। তাতে লেখা থাকবে কোন প্রার্থী কোন স্কুল বাছাই করেছেন বা কোন স্কুল চয়েজ করেছেন। বৈধতা বা সেই সম্মতিপত্রের আগামী দিনে বৈধতা প্রমাণের জন্য প্রার্থীর ও এসএসসির আধিকারিকদের স্বাক্ষর থাকবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই সম্মতিপত্রের ভিত্তিতেই সুপারিশ পত্র দেবে এসএসসি।
এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছেন, ‘‘পরবর্তী ক্ষেত্রে হাইকোর্টের অনুমতি পেলে সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও ভুলভ্রান্তি না হয়, তার জন্য কোন প্রার্থী কোন স্কুল বাছাই করবেন, তার প্রমাণ হিসেবে এই সম্মতিপত্র দেওয়া হবে।’’ উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে মোট শূন্যপদ ১৪৩৩৯ টি। তার জন্য ইতোমধ্যেই মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। প্রতিদিন গড়ে ৫০০-র ও বেশি চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সেলিং এ ডাকা হচ্ছে এবার।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়