শিক্ষামন্ত্রী জানালেন ইতিমধ্যেই SSC সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে রিভিউ পিটিশন ফাইল করতে চলেছে৷ তার পাশাপাশি, চাকরি হারা শিক্ষকদের অভাবে যেভাবে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে বিষয়ে কী করা যায়, তা নিয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের আশ্বস্ত করেছেন৷ তারপরে আলাদা করে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে শিক্ষকদের একাংশের৷ তারপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি৷ শিক্ষামন্ত্রীর আর্জি, ‘‘আন্দোলন না করে, কাজে যোগ দিন৷ দু’টো একসঙ্গে চলতে পারে না৷ মুখ্যমন্ত্রী থাকবে, সরকার থাকবে৷ আপনাদের পাশে৷’’
advertisement
এমনকি, শিক্ষকদের বেতন নিয়েও মিলেছে আশ্বাস৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, এপ্রিল মাসের পয়লা তারিখেই বেতন পেয়েছেন শিক্ষকেরা৷ এরপরে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য৷ ব্রাত্য বলেন, ‘‘কেন বুঝতে সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পারছি না৷ আমরা সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন এ যাচ্ছি৷ আমরা আইনি পরামর্শও নিচ্ছি৷ এর পরে কোথায় আশঙ্কার মেঘ!’’ পরে অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করেন, সবকিছু আইনি পরামর্শ মেনেই করবে রাজ্য৷
প্রসঙ্গত, নিয়মমাফিক স্যালারি রিকুইজিশন পোর্টালে চাকরিহারাদের নাম থাকলেও তাঁদের বেতন দিলে কনটেম্পট অফ কোর্ট অর্থাৎ, আদালত অবমাননা হতে পারে বলে মনে করছেন আইনি বিশেষজ্ঞেরা। তাই আশঙ্কায় রয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। তবে রয়েছে অন্য মতও৷ সেই মত অনুসারে, চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা আপাতত পেতে পারেন স্বস্তি৷ বেতন দিতেও আর অসুবিধা থাকবে না রাজ্যের৷ কী সেই মত?
জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে শুরু হয়েছে আইনি মতামত নেওয়ার প্রক্রিয়া। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যের লিগাল সেকশনের থেকে আইনি মতামত নিচ্ছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রিভিউ পিটিশন করতে যাচ্ছে। এর জন্য রাজ্যের কাছে ৩০ দিনের সময় রয়েছে। সেক্ষেত্রে, যেহেতু বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই থাকছে, তাই চাকরিহারা শিক্ষকশিক্ষিকাদের বেতন দিতে আইনগত সমস্যা নেই বলে দাবি নবান্নের একাংশের।
এক্ষেত্রে স্যালারি রিকুইজিশন পোর্টাল ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা থাকবে। তার আগেই আইনি মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চায় রাজ্য। সেই কারণেই আইনি মতামত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য। পাশাপাশি বর্ধিত চার শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে নাকি, তা নিয়েও আইনি মতামত নেওয়া হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর।