ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্তে তৎপরতা আনতে বৈঠক হয়েছে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের মধ্যে। অর্থের বিনিময়ে অনুত্তীর্ণদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। এই মুহূর্তে ইডির নজরে আর্থিক লেনদেন। কে বা কারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন? সেই টাকা কোথায় তা খুঁজে বার করতেই এবার নিয়োগ কর্তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি।
advertisement
আরও পড়ুন: বালুরঘাট পারেনি, পারল মালদহ! মিঠুনকে ঘিরে বেনজির সৌজন্যের ছবি হোটেলে
ইতিমধ্যে শান্তিপ্রসাদ, অশোক সাহা ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের গ্রেফতার করেছে সিবিআই। অন্যদিকে, ইডির তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। দু'জনের এখনও পর্যন্ত ১০৩ কোটির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে এখন নিয়োগকর্তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন বলেই মনে করেছে ইডি বলে সূত্রের খবর। তাই আদালতে আবেদন করা হবে বলে দাবি এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে চাকরির পরীক্ষাতেও জালিয়াতি, পুলিশের জালে ১
শুধু এই তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া নয়, মানিক ভট্টাচার্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এছাড়া তদন্ত করতে গিয়ে এমন বেশ কিছু নথি তারা বাজেয়াপ্ত করেছে, তাতে নিয়োগকর্তাদের একাংশের সরাসরি মদত পাওয়া গিয়েছে দুর্নীতি যোগের সঙ্গে। একাধিক সুপারিশকারীদের সঙ্গে প্রতি নিয়ত যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করছে ইডি। এমনকী এই সকল সুপারিশকারীদের হাতে ধরেই মধ্যস্থতাকারী এক এক চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের সেতু বন্ধনের কাজ করেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। এতেই আর্থিক লেনদেনের খেলা হয়েছে বলেও দাবি। সেই অর্থ কোথায় গেল, তারই সন্ধান পেতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা।