ওই সাত জন হলেন বংশীগোপাল মণ্ডল, দেবগোপাল মণ্ডল, অরুপ ভৌমিক, গায়ত্রী মণ্ডল, পূর্ণ মণ্ডল, ভীষ্মদেব মণ্ডল, অমলেশ রায় এবং সোমব্রত পণ্ডিত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার এই নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, রমেশ মালিক নামে এক চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি চলছে। সেই মামলাতেই ওই দশ জনের নামের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে তদন্তের আর্জিও জানানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত নেওয়া শেষ, গড়া হচ্ছে দশটি টিম, রাজ্যে আরও মারাত্মক অভিযানে নামছে ইডি!
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলদের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে। তবে তিনি বর্তমানে কলকাতায় থাকেন। পার্থ শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীনই তাঁর দেহরক্ষী বিশ্বম্ভরের স্ত্রী রিনা, দুই ভাই, মাসতুতো ভাই, মাসতুতো বোন, মেসোমশাই, মাসতুতো জামাই, শ্যালক অরূপ ভৌমিক, শ্যালিকা, প্রতিবেশী প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরি পান। এবার তাঁদের মধ্যে ৭ জনকে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালত আরও বলেছে, ১ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের মুখোমুখি না হলে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা! মাতব্বরদের তাণ্ডবে ঘরছাড়া পরিবার, বাংলায় লজ্জাজনক ঘটনা
এদিকে, বৃহস্পতিবারই ইডির তিন অফিসার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরা করা হয়। মঙ্গলবার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ইডি জেরা করেছিল। সূত্রের খবর, অর্পিতার বয়ানের সঙ্গে পার্থর বয়ান মিলিয়ে দেখা হয়।