রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক পদ ফাঁকা রয়েছে ২ হাজারের বেশি স্কুলে। সেই শূন্য পদগুলিতে নিয়োগের জন্য এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে নবম দশম-এর চাকরি প্রার্থীরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তা নিয়েও কীভাবে জট কাটতে পারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন- বাড়ির নাম 'অপা'! ৭ কাঠা জমিতে অর্পিতার বিলাসবহুল ভবনের দলিলে মিলল পার্থর সই
advertisement
শুক্রবারেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসসির একদল চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘ দু'ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। বৈঠক নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। সেই বৈঠকের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রীর এই জরুরি বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সোমবার দুপুর তিনটে থেকে রয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই দুপুর একটা থেকে এই বৈঠক ডাকা কেও কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জল্পনাও। যদিও এই বৈঠকের বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই রাজ্যের "প্রধান শিক্ষক" নিয়োগের জন্য বিধি প্রস্তুত হয়ে গেছে। এসএসসি মারফত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় রাজ্য। এসএসসি নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা রাজ্য দিতে চায়। তার জন্যই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের তৎপরতা ফের শুরু করল রাজ্য। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে শূন্য পদ নিয়ে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছে ২৩২৫ টি শূন্য পদ রয়েছে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য।ফলত এই বৈঠকের পর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা রাজ্য করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- 'রাষ্ট্রপত্নী' বলে সম্বোধন! দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর চৌধুরী
পাশাপাশি স্কুল শিক্ষকদের বদলিও আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। গত বছর আগস্ট মাস থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষকদের বদলির জন্য "উৎসশ্রী" প্রকল্প। বাড়ির কাছাকাছি স্কুল শিক্ষকদের বদলির জন্য এই অনলাইনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সুযোগ পেয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক শিক্ষিকা বলে স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। যদিও এই বদলিকে ঘিরেও একাংশ প্রশ্ন তুলেছে অধিকাংশ গ্রামে স্কুলেই শিক্ষক শিক্ষিকা তুলনামূলক অনেকটাই কমে গেছে। সোমবারের বৈঠকে এই বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইতিমধ্যেই নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের প্যানেলের বৈধতার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই 'জাম্প' করে যে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে সেই পরিস্থিতিতে ৬ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। সেই বিষয় নিয়েও সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের বিষয় নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের জট কাটাতে ফের তৎপরতা শুরু করল রাজ্য বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহলের একাংশ।