এদিন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, "নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই তদন্ত করেছে। আদালত রায় দিয়েছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য শোনা হয়নি।" তাঁর দাবি, শুনানি শুরু হতে না হতেই চাকরি বাতিল করা হয়েছে। চাকরিপ্রাপকদের বক্তব্য শোনা হয়নি। যে ওএমআর সিটের ভিত্তিতে চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়াও, শুধু চাকরি বাতিল নয়, তড়িঘড়ি চাকরি বাতিলের ফলে তৈরি হওয়া শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবারই ওই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। এরপরেই আদালতে সিব্বলের আর্জি, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্তত, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হোক। এদিকে, কপিল সিব্বলের পাল্টা আইনজীবী মুকুল রোহতগি সওয়াল করেন, "কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এর আগেও এমন রায় দিয়েছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: ইস্তফা দিলেন মানিক, কে হচ্ছেন ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? শুরু জল্পনা..
আরও পড়ুন: এত দিন ভুল জানতেন, কাগজ দিয়ে নয়! এই জিনিস দিয়ে তৈরি হয় টাকার নোট...
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "শুধু সিঙ্গেল বেঞ্চ নয়, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও চাকরি খারিজের নির্দেশ বহাল রেখেছে।" তাঁর সওয়াল, আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করেছে। সেই তদন্তের রিপোর্ট আদালতের সামনে পেশ করা জরুরি। তাছাড়া, এই মামলায় সিবিআই-কে পক্ষ করা হয়নি। তাঁর অনুরোধ, সিবিআই-কেও এই মামলায় পক্ষ করা হোক, তাতে তাঁরাও এই বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য আদালতে জানাতে পারবেন।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে একাধিক অসঙ্গতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে অনেক আগে থেকেই। ওএমআর শিট কারচুপি মামলায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি গিয়েছে ১ হাজার ৯১১ জন চাকরিপ্রার্থীর। সেই ১,৯১১ জনের জায়গায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। সেই নিয়োগেই স্থগিতাদেশ পড়ল বৃহস্পতিবার।
RAJIB CHAKRABORTY