এদিন বীরভূম, বর্ধমান এবং হুগলি এই তিন জেলা থেকে মোট ১০০ জনকে গ্রুপ সি-এর কাউন্সেলিং-এর জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কমিশন। প্রত্যেকে সকাল ন'টা থেকেই এসে হাজির হয়ে যান কমিশনের দফতরের সামনে। একজন প্রার্থী বললেন, বীরভূম জেলায় ৩৯ জনের নিয়োগ হয়েছিল গ্রুপ সি-তে। সেই ৩৯ জনের মধ্যে ৩০ জনই ভুয়ো বেরিয়েছিল।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জারি পোস্টার যুদ্ধ! নরেন্দ্র মোদির পরে এবার কেজরীওয়াল বিরোধী পোস্টার
advertisement
গত ১০ মার্চ গ্রুপ সি-তে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের। এদিন শুনানি শেষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় জানান, ৫৭ জন যাঁরা সুপারিশ না পেয়ে চাকরি করছেন, তাঁদের চাকরি বাতিল করবে আদালত। আর ৭৫৮ জনের সুপারিশ প্রত্যাহার করবে কমিশন। শুধু তাই নয়, জানিয়ে দেওয়া হয়, ১১ মার্চ থেকে স্কুলে ঢুকতে পারবেন না তাঁরা। স্কুলের কোনও জিনিসে হাতও রাখতে পারবেন না। বন্ধ রাখা হবে এঁদের প্রত্যেকের বেতন।
আরও পড়ুন: ৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিহাড়েই অনুব্রত মণ্ডল, আজও হল না জামিনের মামলার শুনানি
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র দেয় এসএসসি। তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, সুপারিশপত্র না দিলে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় না! এই ৫৭ জনের ক্ষেত্রে এসএসসি অফিস থেকে কোনও সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গত বছর সন্দীপ প্রসাদের দায়ের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, এসএসসি-র গ্রুপ সি পদে প্রায় ৩৫০ জন কর্মীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।