সেদিন (১৫ মে) কী ঘটেছিল বিকাশভবনে? সেই বিবরণ জানতে চায় পুলিশ। এর আগে একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ডেকে পাঠান হয়েছিল বিধাননগর উত্তর থানায়। সুমন বিশ্বাসকে এই প্রথম।
১৫ মে বিকাশভবন অভিযানের দিন সুমন বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। সামনের সারিতে থেকেই আন্দোলন করেছেন তিনি। পরে ১৭ মে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকার অধিকার মঞ্চের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুমন বিশ্বাস। তারপর সেখান থেকে বিভক্ত হয়ে যান তিনি। তৈরী করেন আন্দোলনের নতুন টিম।
advertisement
কেন বচসা হয়েছিল সেদিন?কেন বচসা হয়েছিল? এই উত্তর পাওয়া যাবে ১৬ মে যখন শুভেন্দু অধিকারী বিকাশভবনের সামনে আসার কথা ঘোষণা হল তখন শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে স্লোগান দিয়েছিলেন সুমন বিশ্বাস। বাকিরা আপত্তি করেন কারণ সেদিন রাজনীতিকরা আসলেও দলের পতাকা না নিয়ে বা কোনও রাজনৈতিক ট্যাগ ছেড়েই আসুক এমনই চেয়েছিলেন চাকরিহারারা। সেদিন বামে ও কংগ্রেসের নেতারাও এসেছিলেন। কে আগে বক্তব্য রাখবে তা নিয়েও বচসা হয়েছিল সুমনের সঙ্গে চিন্ময়দের মঞ্চের।
১৭ মে একটি সংস্থা খাবার দিয়েছিল চাকরিহারাদের। চিন্ময়দের মঞ্চ চেয়েছিল যারা খাবার এনেছেন তারা যদি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে থাকেন বা না হয়ে থাকেন তাহলে তারা যেন কোনওভাবেই ঘোষণা করতে না যান যে তারা চাকরিহারাদের জন্যে খাবার এনেছেন কিন্তু সুমন বিশ্বাস নিজে মাইক্রোফোন তুলে খাবার যাঁরা এনেছিলেন তাঁদের কথা ঘোষণা করেন। সেখানে আপত্তি করে চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময়ের মঞ্চ। সুমনের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। সুমনের খারাপ লাগে পরে তিনি সরে দাঁড়ূান।
নতুন আন্দোলনের টিম তৈরি করে সেদিন থেকেই প্রথমে বিজেপির সল্টলেকের সদর দফতর ও পরে কংগ্রেসের সদর দফতর ঘুরে নানান কর্মসূচি নিয়েছেন সুমন। আজ ১১ টার সময় বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দেবেন চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস।