সূত্রের খবর, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী মঙ্গলবার ওই কলেজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শনকারী দল পাঠানো হবে। বর্তমানে সেই কলেজে কোনও ইউনিয়ন নেই৷ তা সত্ত্বেও ইউনিয়ন রুম কি করে খোলা থাকছে কলেজ ক্যাম্পাসে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলিতে যে ইউনিয়ন রুমগুলি আছে তা পুরোপুরি ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তাহলে কলেজগুলি কেন তা পারছে না? প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য। এই ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তারও রিপোর্ট চেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য৷
advertisement
অন্যদিকে, কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করল জাতীয় মহিলা কমিশন। দোষীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ (ATR) গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। একইসঙ্গে নির্যাতিতাকে সব রকমের মানসিক এবং আইনি সহায়তা করার নির্দেশ।
ঘটনার পরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কলেজের উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি৷ মিডিয়ার কাছ থেকে একেরপর এক ফোন আসছে৷ কিন্তু, কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি৷ কলেজের দারোয়ান মারফত খবর পেয়েছি৷ আমি অশোক দেবকে (কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট তথা বিধায়ক) বিষয়টি জনিয়েছি৷’’
উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায় তাঁর বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তাঁদের কলেজে বিকেল চারটের পরে কলেজ ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের থাকাই বারণ করা রয়েছে৷ সেখানে এত রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে কী করে ছাত্রছাত্রীরা রয়ে গেল, সেই বিষয়টিতে তিনি অবাক হয়েছেন৷
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, গত বুধবার, ২৫ জুন সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে ২২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কলেজের গার্ডরুমে তাঁর উপর অত্যাচার চলে৷ তদন্তের জন্য কলকাতার CNMC হাসপাতালে ওই ছাত্রীর প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদেরও শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ও তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআরে নাম থাকা দু’জনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়। তালবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সিদ্ধার্থশঙ্কর শিশু রায় উদ্যানের সামনে থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এক জনকে এবং ৭টা ৩৫ মিনিটে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় অভিযুক্তকে। তিন জনের কাছ থেকেই নিয়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের মোবাইল ফোন। অভিযুক্ত ৩ জন এবং নির্যাতিতার নাম পরিচয় আড়াল রেখেছে পুলিশ৷ মূল অভিযুক্ত ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান অস্থায়ী কর্মী বলে জানা গিয়েছে৷