নিজের অভিযোগ পত্রে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন যখন তিনি শেষমেশ ইউনিয়ন রুম থেকে বেরতে যাচ্ছিলেন, তখন মনোজিতের ইশারায় তাঁকে ও মনোজিৎকে ইউনিয়ন রুমে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় জায়েব ও প্রমিত৷
ইউনিয়ন রুমের ভিতরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে জোর করে শরীরি সম্পর্ক স্থাপন করতে যায় মূল অভিযুক্ত৷ গায়ের জোরে তাকে আটকাতে থাকেন নির্যাতিতা৷ তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করতে থাকেন৷ এই সময় তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়৷ শ্বাস নিতে পাচ্ছিলেন না৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দরজা খুলে জাইব ও প্রমিতকে ডাকেন মনোজিৎ৷ তখনই নির্যাতিতার জন্য ওষুধের দোকানে ইনহেলার আনতে গিয়েছিল জাইব৷
advertisement
কসবার ধর্ষণের ঘটনার দিন এক যুবক যে মেডিসিনের দোকানে এসে ইনহেলার নিয়েছিল সেই দোকানের মালিকের ছবি বাইট সব পাঠাবো। পুলিশ এসে এই দোকান থেকেও ফুটেজ সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে এমনকি যে বিল হয়েছিল সেই কপিও নিয়ে গিয়েছে৷
জাইব আহমেদ ২৫ জুন বিকালের পরে এই ওষুধের দোকানে গিয়েছিল৷ দোকানে ঢোকার আগে বেশ কয়েকবার সে বাইরে ঘোরাঘুরিও করে৷ তারপরে ভিতরে ঢুকে একটি ইনহেলার কিনে দ্রুত গতিতে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়৷ পুলিশের পক্ষ থেকে সেই ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: দুপুর সাড়ে ৩ টে থেকে রাত ১০টা ৫০…কারা এসেছিল, কারা গিয়েছিল? নজরে ৭ ঘণ্টার CCTV ফুটেজ
যদিও ইনহেলার দিয়ে সাময়িক সুস্থ করিয়েও ছাড়া হয়নি ওই ছাত্রীকে৷ সে ব্যাগ নিয়ে কলেজ থেকে বেরতে গেলে ফের তাকে আটকানো হয়৷ নিরাপত্তারক্ষীর উপস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় কলেজের মূল গেট৷ তার পর তাকে টেনে হিঁচড়ে প্রথমে ইউনিয়ন রুমে ও তার পর গার্ড রুমে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে অত্যাচার চালানোর পরে তাকে ফেলে রেখে বেরিয়ে যায় মনোজিৎ, জাইব, প্রমিতরা৷
ইতিমধ্যেই ওই কলেজে জাইবের ভর্তি হওয়া প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য৷ লিখেছেন, ‘সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত জাইব আহমেদ, CULET-UG 2024-এ হতাশাজনক 2634 র্যাঙ্ক অর্জন করা সত্ত্বেও, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজে – ভর্তি হয়েছিলেন!’
মালব্য লেখেন, ‘এদিকে, যাঁরা অনেক ভাল র্যাঙ্ক পেয়েছেন, মেধাবী এবং আইন মেনে চলা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় আপনাকে স্বাগত – যেখানে আইনের শাসনকে উপহাস করা হয় এবং রাজনৈতিক সংযোগ থাকা অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এত পিছনে র্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও জাইব কীভাবে এই ল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে এবং কারা তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করছে৷