গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সিদ্ধার্থশঙ্কর শিশু রায় উদ্যানের সামনে থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এক জনকে এবং ৭টা ৩৫ মিনিটে জাইব ও প্রমিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎকে।
এবার জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির সন্ধ্যায় ফার্ণ রোডে কোনও একজনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন মনোজিৎ ও জইব? কে সেই ব্যক্তি? জানতে মরিয়া বিশেষ তদন্তকারী দল সিট-এর তদন্তকারীরা৷ বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ফার্ন রোডে মনোজিৎ ও জইব সেদিন একসঙ্গেই ছিল৷ সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে টিএল ফার্ন রোডের কাছে মনোজিৎ ও জইবের গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ কার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন দু’জন? তিন অভিযুক্তকে একসাথে বসিয়েই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে জেরা করতে চাইছেন সিটের সদস্যরা৷
advertisement
এছাড়া, ঘটনার সময় অপর অভিযুক্ত জাইব যে মেডিসিন শপে ইনহেলার কিনতে গিয়েছিল, তার CCTV ফুটেজেও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে৷ ওই ওষুধের দোকানের মালিক জানিয়েছেন, জাইব নগদ এবং ইউপিআই দু’ভাগে ইনহেলারের টাকা দিতে চেয়েছিল৷
প্রথম দফা জবরদস্তির সময় নির্যাতিতার প্যানিক অ্যাটাক হয় বলে অভিযোগ পত্রে জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রী৷ সেই সময় জাইবকে দিয়ে ইনহেলার কিনতে পাঠায় মনোজিৎ৷ পরে ইনহেলার নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরেও নির্যাতিতাকে বেরতে দেওয়া হয়নি কলেজ থেকে৷ বরং তাকে জোর করে কলেজে ঢুকিয়ে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে চলে অত্যাচার৷
যদিও আদালতে মনোজিতের আইনজীবী দাবি করেছেন, ধর্ষণ নয়, সেদিন যা হয়েছিল উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমেই হয়েছিল৷