ডাক্তারির মতো আইন পড়তে গেলেও দিতে হবে একটি এন্ট্রানস্ টেস্ট৷ সেই টেস্টের নাম ‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ল এন্ট্রানস্ টেস্ট’ (CULET)৷ ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে যেমন কোনও পড়ুয়াকে জয়েন্ট দিতে হয়, তারপর তার র্যাঙ্ক অনুযায়ী কাউন্সেলিং করে তাকে ভর্তি হতে হয় কলেজে৷ ঠিক তেমনই কোনও পড়ুয়া ল অর্থাৎ, আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে তাঁকে CULET দিতে হয়৷ তারপর তার র্যাঙ্ক অনুযায়ী সে সুযোগ পায় সরকারি বা বেসরকারি আইন কলেজে৷
advertisement
আরও পড়ুন: দুপুর সাড়ে ৩ টে থেকে রাত ১০টা ৫০…কারা এসেছিল, কারা গিয়েছিল? নজরে ৭ ঘণ্টার CCTV ফুটেজ
জনৈক সৌম্যজিৎ নামের এক আইন পড়ুয়া দাবি করেছেন, যে কোনও সরকারি কলেজে আইন পড়তে হলে CULET এ কমপক্ষে ৭০০। কিন্তু, অভিযুক্ত জাইব আহমেদের এর র্যাঙ্ক ২৬৩৪৷ অভিযোগ উঠছে, তাহলে কী করে ওই কলেজে ভর্তি হল জাইব? মনজিতের কল্যাণেই কি কলেজে ভর্তি? অভিযোগ করছেন পড়ুয়ারাদের একাংশ৷
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য৷ লিখেছেন, ‘সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত জাইব আহমেদ, CULET-UG 2024-এ হতাশাজনক 2634 র্যাঙ্ক অর্জন করা সত্ত্বেও, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজে – ভর্তি হয়েছিলেন!’
আরও পড়ুন: ধ*র্ষণের সময়ে ভিডিও রেকর্ডিং..সেটা দিয়েই থ্রেট! এক অভিযুক্তের মোবাইল ঘাঁটতেই সব ফাঁস
মালব্য লেখেন, ‘এদিকে, যাঁরা অনেক ভাল র্যাঙ্ক পেয়েছেন, মেধাবী এবং আইন মেনে চলা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় আপনাকে স্বাগত – যেখানে আইনের শাসনকে উপহাস করা হয় এবং রাজনৈতিক সংযোগ থাকা অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এত পিছনে র্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও জাইব কীভাবে এই ল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে এবং কারা তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করছে৷
গত ২৫ জুন সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের এক প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ মনোজিৎকে গোটা ঘটনায় টানা মদত দিয়ে গিয়েছে এই জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়৷