সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ফোন করে সনিয়া গান্ধি জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের তরফে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। বিরোধী ঐক্যের ভিত্তিতে এমন কাউকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হবে, যিনি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সার্বভৌমত্বকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সফরের আগেই মারাত্মক অভিযোগ তৃণমূলের!
advertisement
এদিকে, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটকে একজোট করতে অনেক আগে থেকেই প্রচেষ্টা শুরু করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। একাধিক সময়ে এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথাও হয়েছে৷ তবে যে সময়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় দিল্লিতে পা রাখছেন, সেই সময়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজধানীতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই নির্বাচন উপলক্ষে বিরোধী জোট দানা বাঁধে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: ইলেকট্রিক তার জড়িয়ে প্রতিবেশীকে হত্যা? কী মারাত্মক ঘটনা হরিহরপাড়ায়
বিজেপি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিও। বিভিন্ন বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জূন খাড়্গে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ও চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতাদের। তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিও।
বিরোধী জোটে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। তাদের বিরোধী হিসাবে ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমন অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে, রাস্তায় নেমে যথাযথ ভাবে আন্দোলন করছেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। দক্ষিণ ভারতের দুই অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ও পিনারাই বিজয়ন অবধি এটাকে সমর্থন করেছেন। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলির এক ছাতার তলায় আসার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছেন মল্লিকার্জূন খাড়গে। বিরোধী দলের মুখ হিসাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, শরদ পাওয়ারের নাম নিয়েও আলোচনা চলছে। দক্ষিণ ভারতের বিজেপি বিরোধী লবির চর্চায় রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাম।