৮০ বছরের বৃদ্ধা অঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলে বৌমাদের সংসারে তিনি বোঝা হয়ে ছিলেন। রীতিমতো অপমান করা হত ওই বৃদ্ধাকে। তাই তিনি চলে আসেন শিয়ালদহ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চত্বরে।
বৃদ্ধার বাড়ি ঘোলার সাহা পাড়ায়। সেই খবর করার পরে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় ছেলেদের বাড়ির এলাকায়। ছেলেদের ওপর চাপ আসতে শুরু করে। সোশ্যাল মাধ্যমে খবরটি ভাইরাল হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে সবাই। সঙ্গে একটি এনজিও এই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করে।
advertisement
স্থানীয় লোকেদের কাছে ছেলেরা এতদিন বলেছিল, তাঁর মা নাকি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু এই খবরের পর আসল সত্যি সামনে আসে।বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ ছেলে অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে বৃদ্ধার বড়ো বৌমা এবং এনজিও এর সদস্যরা হাসপাতালে আসেন। ওই এনজিও সঙ্গে ঘোলা থানার পুলিশকেও নিয়ে এসেছিল।
আরও পড়ুন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে ছাড়ব! প্রণাম- সৌজন্য পর্ব মিটতেই মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
বৃদ্ধাকে হাসপাতালের ফুটপাত থেকে ছেলে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। হাসপাতালের বাইরে বসে থাকা রোগীর আত্মীয়রা অনেকেই বিষয়টি দেখে বেশ অবাক হয়ে যান। বেশ কিছু রোগীর আত্মীয়রা জানান, বৃদ্ধা খুব কষ্ট করে বহুদিন ধরে ওখানে বসে রয়েছেন। তবে যাঁরা মাঝে মাঝে খাবার দিতেন এবং বৃদ্ধার সেবা করতেন তাঁরা একদিকে যেরকম খুশি হয়েছেন, অন্যদিকে তাঁদের চোখে জল।
আরও পড়ুন, 'সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাববেন না,' চায়ের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে তোপ শান্তনুর
এই বৃদ্ধাকেই প্রথমদিন যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বাড়িতে যাবেন কিনা? তিনি বলেছিলেন, "এই রকম বহু বাবা-মা রাস্তায় পড়ে রয়েছেন, তাঁদের কী হবে?" তবে ওই বৃদ্ধার ছেলে অসীম, সেরকম কিছু বলতে চাননি। শুধু তিনি জানিয়ে ছিলেন, 'মাকে নিতে এসেছি।'