সূত্রের খবর, আজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সাথে দেখা করতে পারেন ওই বিজেপি বিধায়করা। তবে, সেই সংখ্যাটা কত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও তৃণমূলের দাবি, যে হারে দলবদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। যদিও বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, মাইনাস থেকে শুরু করে শূন্যে গিয়ে ঠেকবে তৃণমূল।
advertisement
সম্প্রতি তৃণমূল মুখপাত্র 'জাগো বাংলা'য় লেখা হয়েছে, বিজেপির এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়েই রেখেছেন। শেষ ৭২ ঘণ্টায় যতজন বিজেপি বিধায়ক যোগাযোগ করেছেন বা গোপন বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে, তাতে বিপ্লব দেবের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দিকেই যাচ্ছে। এমনও দাবি করা হয়েছে, তৃণমূলের লক্ষ্য বিধায়কদের দলত্যাগ করিয়ে সরকার গঠন নয়, বরং নির্বাচনে লড়াই করেই ত্রিপুরায় মানুষের সরকার গড়তে চায় তাঁরা।
তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, ত্রিপুরা বিজেপিতে বহু বিধায়ক রয়েছেন, যারা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কট্টর বিরোধী। কিছু বিধায়ক আছেন, যারা হয়ত বিপ্লব দেবের পক্ষে রয়েছেন। কিন্তু তাঁরাও এখন আতান্তরে পড়েছেন, বিপ্লব দেবের সরকারকে মানুষ আর ভরসা করছেন না বলেই ভাবছেন তাঁরাও। তাই তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে দূত পাঠাচ্ছেন সেই বিপ্লব দেব শিবিরের বিধায়করাও। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন, তৃণমূলে আসতে চান ত্রিপুরার পাঁচ বারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন অধ্যক্ষ জিতেন সরকার। আবার ত্রিপুরা বিজেপির সহ সভাপতি অশোক দেববর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন। সব মিলিয়ে অ্যাডভান্টেজ নিয়েই চলেছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ১৬ অগাস্টের খেলা হবে দিবসের মতোই এবার ত্রিপুরায় (Tripura TMC) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর (TMCP Foundation day) অনুষ্ঠানও পালন করা হবে। আগামী শনিবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন ওই অনুষ্ঠানে। এর আগে ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের অনুষ্ঠানের লাইভ স্ট্রিমিং শোনাতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল এ রাজ্যের শাসক দলকে৷ পুলিশ আটক করেছিল তৃণমূলের (TMC) নেতা-কর্মীদের। মাঝে একমাসে রাজনৈতিক আবহের অনেক পরিবর্তন হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই ছোট রাজ্যে। সেই আবহে ত্রিপুরায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই অনুষ্ঠান পালন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
