অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলগুলোতে এর হার কিছুটা হলেও কম। গ্রামে মায়োপিয়াতে আক্রান্ত ৬.৮%। তবে স্কুলস্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক হারে বাড়ছে।
আরও পড়ুন- করোনা-ডেঙ্গির মধ্যেই হানা ভয়াবহ সোয়াইন ফ্লু-র, হাসপাতালে ভর্তি বহু রোগী
স্কুলস্তরের ছাত্র ছাত্রীদের আক্রান্ত হওয়ার হার ০.৮৯ শতাংশ থেকে ১.৪ শতাংশ। এরই সঙ্গে চোখের জল শুকিয়ে যাওয়া বা ড্রাই আইতে ভুগছেন বহু মানুষ। মূলত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এবং যারা অত্যধিক মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে এই ড্রাই আই-তে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
advertisement
মায়োপিয়াতে আক্রান্ত বা ড্রাই আইতে ভোগা, দৃষ্টিশক্তি কমে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অনেকের পাওয়ার মাইনাস ১০ পর্যন্ত হয়। তাঁদের জন্য নতুন স্মাইল পদ্ধতিতে অস্ত্রোপ্রচার করে চশমা বা লেন্স ছাড়াই স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে আসবে।
ব্যথাহীন, ব্লেডলেস, ফ্ল্যাপলেস এই অস্ত্রোপচার, যাকে স্মাইল ( স্মল ইন্সেশন লেন্টিকুল এক্সট্রাকশন / Small Incision Lenticule Extraction) বা লেজার রিফ্রাক্টিভ কারেকশন সার্জারি বলা হয়।
১৮ বছরের বেশি বয়সী যাদের স্পেরিক্যাল পাওয়ার মাইনাস ১.৫ থেকে মাইনাস ১০ পর্যন্ত এবং সিলিন্ড্রিক্যাল পাওয়ার মাইনাস ৫ পর্যন্ত, তাদের ক্ষেত্রে এই স্মাইল অস্ত্রোপ্রচার অত্যন্ত উপযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতার সিআইটি রোডের চক্ষু চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান ত্রিনেত্রালয় গত এক মাসের মধ্যে পূর্ব ভারতের প্রথম ৯৮ জনের এই স্মাইল সার্জারি করেছেন বলে দাবি করেছে।
ত্রিনেত্রালয় চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডক্টর পার্থ বিশ্বাস জানান," মায়োপিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে এটা সবথেকে কার্যকরী চিকিৎসা। চশমা পারলেন ছাড়াই ভবিষ্যৎ জীবন স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি নিয়ে চলতে পারবে যে কোনো ব্যক্তি। আমাদের হাসপাতালে ভিজুম্যাক্স ( VIsumax ) নামের যে মেশিনটি এই অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ,তা অত্যাধুনিক, পাঁচ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দাম।
আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে বিজেপির নয়া স্লোগান-পোস্টারের আত্মপ্রকাশ
এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৫ জন রোগী, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি, বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশার বেশ কয়েকজন রোগী সহ এই রাজ্যেরও অনেকে এই চিকিৎসা করে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে যেখানে পূর্ব ভারতের বাইরে অন্য রাজ্যে দুটি চোখে এই অস্ত্রোপচার করতে ন্যূনতম দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয় সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কথা ভেবে আমাদের হাসপাতালে মাত্র এক লক্ষ দশ হাজার টাকায় দুটি চোখের অস্ত্রোপচার করা হয়।
প্রচলিত লাসিক পদ্ধতির থেকে অনেক উন্নত মানের এবং নিরাপদ এই স্মাইল পদ্ধতি। মাত্র ১৫ মিনিটের অস্ত্রোপচার। স্মাইল প্রয়োগ করার পর একদিনের মধ্যে থেকেই রোগী স্নান, খেলাধুলো সহ যে কোনো স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবে। এমনকী চোখের মেকআপ করতেও কোনও সমস্যা হবে না।"
এই হাসপাতালের সিইও মনিদীপা বিশ্বাস জানান," স্মাইল পদ্ধতির ক্ষেত্রে মেডিক্লেম রি এম্বার্সমেন্টের সুবিধা পাওয়া যায় এই হাসপাতাল থেকে। ভিসুম্যাক্স বলে যে মেশিনটি এখানে ব্যবহার করা হয় তা সারা বিশ্বেই অত্যন্ত অগ্রগণ্য বলে চিহ্নিত।"