আরও পড়ুন: ফের কী হল অনুব্রত মণ্ডলের! রাতেই শোরগোল, তৃণমূল নেতাকে আনা হল কলকাতায়
২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট৷ বউবাজারের বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিট, বউবাজার স্ট্রিট, দুর্গা পিতুরি লেন, স্যাঁকরা পাড়া লেনের বাসিন্দারা বাস্তুহারা হয়েছিলেন। তলপি-তলপা গুটিয়ে পালিয়েছিলেন হোটেলের দিকে৷ মেট্রো রেলের কাজের জন্য একের পর এক বাড়িতে বিশাল ফাটল,বাড়ি হেলে পড়েছিল। ফিরে আসছে সেই দুঃস্বপ্নের দিনরাত্রি৷
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলায় হবে আরও অনেক জেলা? জানিয়ে দিলেন মমতা! সমস্যা শুধু একটি বিষয়
মরতে তো একদিন হবেই৷ তবু অসময়ে যেতে কে বা চায়! বাঁচতে চান ওরাও৷ কিন্তু ঠিকানা বদলাতে বদলাতে নরকের দিকে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা৷ স্কুটির ফাঁকে গোটা সংসার! মায়ের শাড়ি, স্ত্রীয়ের প্রসাধন৷ কারও ঠিকানা ক্রিক রো-এর কিউ এন হোটেল৷ পরীক্ষা দিতে পারে নি কোনও এক শিশু৷ বইখাতা, জামাকাপড় রয়ে গিয়েছে পুরনো আস্তানায়৷ কেউ ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন৷ ফিরে এসে দেখেন বাড়িতে ফাটল৷ আক্ষরিক অর্থেই পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল তাঁদের৷ তাঁরা দিশেহারা৷ কোথায় যাবেন, কী করবেন, কী নিয়ে যাবেন, কী রেখে যাবেন- কিছু ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না৷ রাস্তার মাঝে বসে হাতপাখা নাড়ছেন এক যুবক৷ বৃষ্টির মধ্যেই রাতভর খোলা আকাশের নীচে ছিলেন তাঁরা৷
বলা হয়, বেশি ভয় পেতে পেতে একসময় ভয় সয়ে যায়৷ তেমনই অবস্থা হয়েছে পরিবারগুলোর৷ ৭২ বছরের এক বৃদ্ধা নিজের মুখে জানিয়েছেন, এবার আর শ্বশুরবাড়ির ভিটে ছাড়বেন না। সারানো হয়েছিল, রং করা হয়েছিল- তারপরেও ফিরে এসেছে ফাটল৷ মানুষ একবার,দুবার ভয় পেতে পারে, কিন্তু এ ভয় তো প্রতিদিনের৷ প্রতি রাতে বাড়ি কাঁপতে থাকে৷ এ কি মৃত্যুর কড়া নাড়া?
কেউ বলছেন, আমি বেরবো না। মরলে বাড়িতেই মরব।' কেউ কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেছেন বাড়িতে ফাটল। জিনিস তখনও সব ভিতরেই। শুধু প্রয়োজনীয় কিছু নথি নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন৷ বাতাসে শুধুই হাহাকার৷ ভাঙা দেওয়ালের ফাঁকে ফাঁকে শুধুই কান্না, সব শেষ করে দিল। কোথায় যাব জানি না।' খুব ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে, কঠিনতম বাস্তব সেই লাইনটাই, মানুষ বড় সস্তা...