চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের অন্তিম সরকারের কাজ হয়েছিল সিরিটি মহাশ্মশানে। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন। শশ্মান আপাত দুরবস্থা দেখে অবিলম্বে সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার নতুন রূপে সেজে উঠতে চলেছে সিরিটি মহাশ্মশান।
advertisement
আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ এর বৈঠকে এই সিরিটি শ্মশানের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের জন্য ৭ কোটি ৯৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরিমাণ অর্থ পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের ফিনান্স ডিপার্টমেন্টের কাছে অ্যাপ্রুভাল নেওয়ার প্রয়োজন। সেই জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি মেনে ফাইল পাঠানো হবে বলে এদিন জানালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং।
আরও পড়ুন - Job: রাজ্যের কর্মসংস্থানে নতুন দিশা টাটার, স্কুল পাস মেয়েদের ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ, প্রথম দিনেই সুযোগ ১০৫ জনের
এই অর্থে সিরিটি মহাশ্মশানের সংস্কারে বেশ কয়েকটি নতুন ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই শ্মশান এলাকার বেশ কিছু জবরদখলকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কি কি নতুন সংস্কারের কাজ করা হবে সিরিটি মহাশ্মশানে।
1) নতুন করে আরও দুটি আধুনিক মানের ইলেকট্রিক চুল্লি নির্মাণ। ইতিমধ্যেই দুটি চুল্লি রয়েছে। যে চুল্লি দুটো ইলেকট্রিকে চলে।
2) একটি নতুন কাঠের পরিবেশ বান্ধব চুল্লি নির্মাণ। পুরনো একটি কাঠের চুল্লি রয়েছে সেটিকে পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে।
3) শ্মশানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সংলগ্ন আরও ১৪ কাটা জমি সংযুক্ত করা হবে।
4) দাহ করতে আসা সব যাত্রীদের জন্য আধুনিক মানের এয়ার কন্ডিশন হল বা রেস্টরুম গড়ে তোলা হবে।
5 ) দাহ করার পর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য একটি পুকুর নতুন করে খনন করা হবে। সেখানে গঙ্গার জল রাখা হবে বলেও পুরসভা সূত্রে খবর।
6) যে দোকানগুলি এখনও রয়েছে সেগুলোকেও নতুনভাবে সাজানো হবে। বাকি শ্মশান যাত্রীদের প্রয়োজনীয় দোকান ঘর গড়ে তোলা হবে। যেখানে শ্মশান যাত্রার সামগ্রী মিলবে।
7) শ্মশান যাত্রীদের বিশ্রাম ও জলাশয়ের কাছে কাফেরিয়া করা হবে। যাতে শ্মশান যাত্রীদের কোনো অসুবিধা না হয়।
আরও পড়ুন - কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি, অবসাদে ভুগছেন? শরীরে এই ভিটামিনের ওভারডোজ হয়ে যায়নি তো!
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন উদ্যোগ অনেকদিন ধরে নেওয়া হয়েছে শ্মশান এলাকা জমি কেনা হয়েছে। জবরদখলকারীদের সরানো হয়েছে যথোপযুক্ত পুনর্বাসন দিয়ে। এবার পুরসভার অনুমোদন পাওয়ায় আরো একধাপ এগিয়ে গেল সিরিটি মহাশ্মশানের সংস্কারের কাজ। রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের অনুমোদন পেলেই নতুন ভাবে সেজে উঠবে এই শ্মশান। কলকাতার মধ্যে আরও একটি বড় মাপের শ্মশান হওয়ায় কেওড়াতলা বা নিমতলার মতো শ্মশানে কিছুটা চাপ কমবে বলে ও মনে করছে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
BISWAJIT SAHA