বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল, অরিন্দম নিয়োগী-সহ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে একদিকে SIR প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। আবার অন্যদিকে ২০০২ সালের SIR পরবর্তী ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার ম্যাপিং নিয়ে ও আলোচনা হয়। পাশাপশি এ দিন বিশেষ করে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ থেকে নিয়ে নিয়োগ কোন পর্যায় রয়েছে সেটা জানতে চান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। বৈঠকে বিএলও দের সমস্যার কথা ও উঠে আসে। যেখনে বিশেষ করে শিক্ষক দের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
advertisement
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল যে তারা ৮ ঘণ্টা ডিউটি করার পর, কী ভাবে আবার SIR প্রক্রিয়ার জন্য কাজ করতে পারবেন। তখন তাদের কে বলা হয় যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যে ভাবে বিহারে শিক্ষকরা কাজ করেছেন। একই ভাবে এখানে ও কাজ করতে হবে বলে জানাল কমিশন। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে বিএলও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রে ভিত্তিক বিএলও দের রাখতে বলা হয়েছে। যাতে দূর-দূরান্ত থেকে তাদেরকে বিএলও কাজ না করতে হয়।
বুথ ভিত্তিক ভোটার তালিকা ম্যাপিং করতে গিয়ে সমস্যার কথা উঠে আসে বৈঠকে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া বিএল ও নিয়োগের ক্ষেত্রে একান্ত যদি স্থায়ী সরকারি কর্মী না পাওয়া গেলে তখন অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বিএলও নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানানো হয় এই বৈঠকে। এছাড়া পড়াশুনার জন্য বিদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিক ও কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা নাগরিকদের ভোটার তালিকা যাচাই করার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আইন মোতাবেক করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে সমস্ত আধিকারিকদের যে কোনো সমস্যা হলে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দের সঙ্গে দেখা করে সমাধান করার কথা বলা হল। তার পরেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। তবে বিহার থেকে বাংলায় SIR আরো ভালো ভাবে সফল করার অঙ্গীকার নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি দল।