যদিও অনেক ভোটারের মনেই প্রশ্ন, বিএলও যখন বাড়িতে এসআইআর-এর কাজে আসবেন, সেই সময় ভোটার বাড়িতে না থাকলে কী হবে?
আজ থেকেই কলকাতা সহ জেলায় জেলায় বিএলও-দের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে৷ সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে বিএলও-দের জানানো হয়েছে, কোনও ভোটারকে বাড়িতে না পেলে সেই বাড়িতে সর্বাধিক তিন বার যেতে হবে একজন বিএলও-কে৷ তার পরেও তিনি সেই ভোটারকে না পেলে অথবা বাড়ি তালাবন্ধ থাকলে বিএলও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন৷
advertisement
প্রথম যেদিন বিএলও বাড়িতে আসবেন, সেদিন বাড়ি তালাবন্ধ থাকলে বিএলও চেষ্টা করবেন কোনওভাবে দরজার ফাঁক দিয়ে অথবা লেটার বক্সে এনুমারেশন ফর্ম রেখে যেতে৷ একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাড়িতে একটি নোটিসও সাঁটিয়ে দিয়ে আসবেন তিনি৷ পরের দিন তিনি কবে আবার ওই বাড়িতে আসবেন, ওই নোটিসে তার উল্লেখ থাকবে৷ ভোটারের খোঁজে এই ভাবে আরও দু দিন সেই বাড়িতে যাবেন বিএলও৷
এর পাশাপাশি ভোটার নিজেও বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারেন৷ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটের থেকে নিজের বুথ এলাকার বিএলও-র মোবাইল নম্বর পেয়ে যাবেন ভোটার৷ সেই নম্বরে ফোন করে বিএলও-র সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারবেন৷ ভোটারের নম্বর এবং তার পরিচয় বিএলও অ্যাপেও উঠে যাবে৷ ফলে বিএলও নিজেও বুক এ কল অপশনের মাধ্যমে সেই ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন৷ ভোটারকে একবারে ফোনে না পেলে অন্তত তিন বার তাঁকে ফোন করতে হবে বিএলও-কে৷
বাড়ির কোনও একজন সদস্য উপস্থিত না থাকলে পরিবারের অন্য কোনও একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য বিএলও-র কাছ থেকে সই করে অনুপস্থিত সদস্যের এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে নিতে পারবেন৷ এমন কি, অনুপস্থিত সদস্যের নথিও প্রয়োজনে বিএলও-কে দেখাতে পারবেন বাড়ির অন্য সদস্যরা৷ যাঁরা বিদেশে আছেন, তাঁরা অনলাইনে ফর্ম ডাউনলোড করে তা পূরণ করে জমা দিতে পারবেন৷ বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে ফোনের মাধ্যমে নথি পাঠিয়ে দিতে পারবেন৷
