কিন্তু বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘুরতে শুরু করল এই পরিস্থিতি।রাজ্যের 'স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন'-সহ অন্যান্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় ‘ডেঙ্গি ৩’-এর দাপট চোখে পড়ে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেরোটাইপিং পরীক্ষায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ডেঙ্গি রোগীদের মধ্যে 'ডেঙ্গি ৩'- এ আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল ৬০ শতাংশ। 'ডেঙ্গি ২'-এ আক্রান্ত ছিল ২৫ শতাংশ। খুবই অল্পসংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হচ্ছিলেন ‘ডেঙ্গি ১’ এবং ‘ডেঙ্গি ৪’- এ। মাত্র এক মাসে পরিস্থিতি ঘুরে গিয়েছে। 'ডেঙ্গি ৩'-এ সংক্রামিত হওয়ার হার কমে হয়েছে কমবেশি ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে 'ডেঙ্গি ২'-এ আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে।
advertisement
আরও পড়ুন: নাকে ট্যিউমর, ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা পাচ্ছেন নতুন নাক, ফের কামাল এসএসকেএম-এর
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে বাংলায় এখন একইসঙ্গে দুটি ডেঙ্গি ভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে। যা গত এক দশকে দেখা যায়নি। নাইসেড-এর অধিকর্তা ডাঃ শান্তা দত্ত বলেন, ‘দীর্ঘদিন বাদে আমরা দেখছি, ডেঙ্গির দুটি ভাইরাস কমবেশি একভাবে দাপট দেখাচ্ছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে চিন্তার। একই মানুষ ডেঙ্গির অন্য ভাইরাসে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে ইমিউনিটি না থাকায় লড়াই করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।’
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ সফর সেরেই কালীপুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী! চার পুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা
সেপ্টেম্বর মাসের হিসেব বলছে, বাংলায় সেই সময় 'ডেঙ্গি ৩' ছিল ৫০ - ৬০ শতাংশ। 'ডেঙ্গু ২' ছিল ২০ - ২৫ শতাংশ। 'ডেঙ্গি ১' এবং 'ডেঙ্গি ৪' ছিল যথাক্রমে ২-৫ শতাংশ এবং ১ শতাংশ। অক্টোবর মাসে 'ডেঙ্গি ৩' হচ্ছে ৫২ শতাংশ ক্ষেত্রে। 'ডেঙ্গি ২'-এ আক্রান্ত হচ্ছেন ৪০ শতাংশ মানুষ। 'ডেঙ্গি ১' এবং ' ডেঙ্গি ৪' হচ্ছে যথাক্রমে মাত্র ৬ এবং ১ শতাংশ।
