TRENDING:

ভয় দেখাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে একইসঙ্গে দাপট 'ডেঙ্গি ২' ও 'ডেঙ্গি ৩'-এর, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা

Last Updated:

একই মানুষ ডেঙ্গির অন্য ভাইরাসে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে ইমিউনিটি না থাকায় লড়াই করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: চলতি বছরের প্রথমের দিকে রাজ্যের মানুষ প্রধানত আক্রান্ত হচ্ছিলেন ‘ডেঙ্গি ২’ ভাইরাসে। চিকিৎসকেরা অনুমান করেছিলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তি কম ভুগবেন এবং মৃত্যুও কম হবে। কারণ, ৪  ধরনের ডেঙ্গির মধ্যে একটির প্রাধান্য থাকলে, একবার সেটি হয়ে গেলে অন্যটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশ কমই। দ্বিতীয়বার সংক্রামিত হলে, ‘ডেঙ্গি ২’-তেই সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকবে এবং প্রথমবারের অ্যান্টিবডি দ্বিতীয়বারের বিপদ থেকে বাঁচাবে।
advertisement

কিন্তু বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘুরতে শুরু করল এই পরিস্থিতি।রাজ্যের 'স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন'-সহ অন্যান্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় ‘ডেঙ্গি ৩’-এর দাপট চোখে পড়ে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেরোটাইপিং পরীক্ষায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ডেঙ্গি রোগীদের মধ্যে 'ডেঙ্গি ৩'- এ আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল ৬০ শতাংশ। 'ডেঙ্গি ২'-এ  আক্রান্ত ছিল ২৫ শতাংশ। খুবই অল্পসংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হচ্ছিলেন ‘ডেঙ্গি ১’ এবং ‘ডেঙ্গি ৪’- এ। মাত্র এক মাসে পরিস্থিতি ঘুরে গিয়েছে। 'ডেঙ্গি  ৩'-এ সংক্রামিত হওয়ার হার কমে হয়েছে কমবেশি ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে 'ডেঙ্গি ২'-এ আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে।

advertisement

আরও পড়ুন: নাকে ট্যিউমর, ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা পাচ্ছেন নতুন নাক, ফের কামাল এসএসকেএম-এর

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে বাংলায় এখন একইসঙ্গে দুটি ডেঙ্গি ভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে। যা গত এক দশকে দেখা যায়নি। নাইসেড-এর অধিকর্তা ডাঃ শান্তা দত্ত বলেন, ‘দীর্ঘদিন বাদে আমরা দেখছি, ডেঙ্গির দুটি ভাইরাস কমবেশি একভাবে দাপট দেখাচ্ছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে চিন্তার। একই মানুষ ডেঙ্গির অন্য ভাইরাসে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে ইমিউনিটি না থাকায় লড়াই করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।’

advertisement

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ সফর সেরেই কালীপুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী! চার পুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নবাবের শহর থেকে রাজধানীর পথে মুর্শিদাবাদের রুদ্রাক্ষী, স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে জীবনযুদ্ধে জয়
আরও দেখুন

সেপ্টেম্বর মাসের হিসেব বলছে, বাংলায় সেই সময় 'ডেঙ্গি ৩' ছিল ৫০ - ৬০ শতাংশ। 'ডেঙ্গু ২' ছিল ২০ - ২৫ শতাংশ। 'ডেঙ্গি ১' এবং  'ডেঙ্গি ৪' ছিল যথাক্রমে ২-৫ শতাংশ এবং ১ শতাংশ। অক্টোবর মাসে 'ডেঙ্গি ৩' হচ্ছে ৫২ শতাংশ ক্ষেত্রে। 'ডেঙ্গি ২'-এ আক্রান্ত হচ্ছেন ৪০ শতাংশ মানুষ। 'ডেঙ্গি ১' এবং ' ডেঙ্গি ৪' হচ্ছে যথাক্রমে মাত্র ৬ এবং ১ শতাংশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ভয় দেখাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে একইসঙ্গে দাপট 'ডেঙ্গি ২' ও 'ডেঙ্গি ৩'-এর, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল